ঢাকা ২২শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট নগরের সর্বত্র তীরজুয়ার আসর জমজমাট হয়ে উঠেছে। করোনাকালীন কিছুদিন তেমন একটা কিছু দৃশ্যমান না হলেও এখন নগরের অলিগলিতে চলছে প্রকাশ্যে তীর জুয়া খেলা। পাশপাশি চলছে পুলিশ ও নসামধারী সাংবাদিকদের বখরাবাজি।
তবে, নগরে শীলং তীর জুয়ার আসর নেই বলে পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়। যে কয়টি ছিল সেগুলো অভিযানে বন্ধ হয়ে গেছে। যদি কখনও এমন কিছু চোখে পড়ে তবে পুলিশকে জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়। কার্যত পুলিশের বক্তব্যের সাথে নগরের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। এখনও নগরের বিভিন্ন স্থানে তাবু টানিয়ে দেদারছে চলছে তীর জুয়ার আসর। সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন নগরের ঘাসিটুলায়ও বসে এমন একটি জমজমাট তীর জুয়ার আসর। জনৈক বাদশা মিয়া ঘাসিটুলা বেতের বাজার এলাকাধীন সুরমা পারের মাঠে একটি পরিত্যাক্ত দোকান ঘরে পরিচালনা করেন এ জুয়ার আসর। দিনে ও রাতে দুই শিফটে এ ঘরে বসানো হয় তীর জুয়ার জমজমাট খেলা ও মেলা। কোতোয়ালি থানা পুলিশের একজন লাইনম্যান এ স্পট থেকে নিয়মিত বখরা তুলে নির্বিঘেœ জুয়া খেলার আসর বসাতে দেন। খেলার টিকেট বিক্রি করেন বাদশা মিয়ার নিয়োজিত ৪/৫কর্মী।
স্থানীয় সূত্রমতে সিরিয়াল ০ থেকে ৯৯ পর্যন্ত তীরখেলার নাম্বার থাকে। প্রথম রাউন্ডের প্রতিটি নাম্বারের বিপরীতে ১০ টাকা করে খেলায় অংশগ্রহণকারীকে দিতে হয় এবং প্রতিটি হাউজ ও এন্ডিং মূল্য দিতে হয় ১০০ টাকা করে। খেলা শেষে ১০ টাকার নাম্বারধারী বিজয়ীকে দেওয়া হয় ৮০০ টাকা করে। হাউজ খেলায় অংশ গ্রহণকারী বিজয়ীকে দেওয়া হয় ৮ হাজার টাকা। আর এ পুরস্কার নির্ভর করে থাকে ভাগ্য লটারীর উপরই।
ঘাসিটুলার এ স্পট ছাড়াও সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানাধীন কালীঘাটের পেঁয়াজ পট্টি, সুরমা মর্কেট, কাজির বাজার, লামাবাজার, চালীবন্দর ও বাগবাড়ি এলাকায় কোতোয়ালি থানা ও স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশকে ম্যানেজ করে চলছে জমজমাট তীর জুয়ার আসর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সেলিম মি.া বলেন, তীরজুয়া খেলার গল্পটি অনেক আগের। আমার জানামতে বর্তমানে কোতোয়ালি এলাকার কোথাও তীরজুয়ার আসর বসছে না। এ ব্যাপারে আমাদের অভিযানিক দল সবসময় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপরও যদি তীর খেলতে সরাসরি পাওয়া গেলে এবং কেউ আমাদেরকে ইনফরমেশন দিলে আমরা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করতে প্রস্তুত।
সম্পাদক ও প্রকাশক : জে.এ কাজল খান
Design and developed by syltech