ঢাকা ২৪শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
মো. আব্দুল শহিদ, সুনামগঞ্জ
পরিকল্পনা মন্ত্রীর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সরকারি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো রক্ষায় সুরমা নদীর ডান তীরে বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি ঝুকিপূর্ণ প্রকল্প নিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের টাকায় বাস্তবায়ানাধীন এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের জুন মাসে। কিন্তু চলতি বছরে করোনা পরিস্থিতির কারনে শ্রমিক না পাওয়ায় প্রকল্পের কাজ প্রায় ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৮৫ ভাগ কাজ করিয়ে বিল পেয়েছেন মাত্র ৫০ ভাগ। সুরমা নদীর তীরে এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্প না নিলে তিন দফা বন্যায় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেত বেশ কয়েকটি ছোট বড় প্রতিষ্ঠান। মূলত যেসব প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য এ প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। সেগুলো ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পেল।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, পাথারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাথারিয়া পোস্ট অফিস, পাথারিয়া ভ‚মি অফিস, পাথারিয়া কৃষি ব্যাংক, পাথারিয়া বাজার ও স্থানীয় অনেকের বাড়ি ঘর ভাঙ্গনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে ভ‚ক্তভোগীরা জানান।
পাথারিয়া সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে প্রতিবেদকে বলেন, পাথারিয়া বাজারসহ সরকারি- বেসরকারি অনেকগুলি প্রতিষ্ঠান যথা সময়ে বাঁধ নির্মাণে রক্ষা পেয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বন্যার আগাম আবাস পেয়ে দ্রæত বাঁধের কাজ সম্পন্ন করার জন্য বেশি শ্রমিক লাগিয়ে প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ করিয়েছেন। এ প্রকল্পে পাথারিয়ায় ২২৩ মিটার তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের জুন এর মধ্যে প্রকল্পটির কাজ বন্যার কারণে শতভাগ করা সম্ভব না হওয়ায় ১৫% কাজ বাকি ছিল।
সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি মো. আব্দুল মমিন বলেন,কর্তৃপক্ষের অধিক নজরদারীর কারণে পানি আসার আগেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮৫ ভাগ বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে। বাধঁ নির্মাণ কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার কারণে আমরা পরিকল্পনামন্ত্রীকে আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর-২) মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন বন্যার পূর্বেই প্রকল্পের কাজ প্রায় ৮৫ ভাগ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার কারণে কাজের অগ্রগতি শতভাগ হয়নি। বাধঁ নির্মাণ কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি সহ আমার কার্যালয়ের লোকজন প্রতিনিয়ত নজরদারী করেছি। যাতে কাজে কোন ধরনের গাফলতি না হয়। বøক ডাম্পিং কাজ কিছু বাকি রয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য জলবায়ুু মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাপুর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্টান ও সরকারি স্থাপনা এবং এলাকার বাড়িঘর রক্ষায় যে প্রকল্প দিয়েছেন করোনার প্রভাবে শতভাগ কাজ সম্ভব না হওয়ায় প্রায় ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের মনের দাবী পূরণ হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মো. মতিউর রহমান বলেন, পাথারিয়া সংলগ সুরমা নদীর তীরে বাধঁ নিমার্ণ প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ায় সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান উন্নয়নের রূপকার বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সফল মন্ত্রী এম. এ মান্নান আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবিলীগ, উলামালীগ, সৈনিকলীগের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
এ বিষয়ে সাব ঠিকাদার অসীম সিং প্রতিবেদকে জানান, বন্যার আগেই অতিরিক্ত শ্রমিক লাগিয়ে ৮৫ ভাগ কাজ করেছি। বাঁধে পানি আসার কারণে সামন্য ডাম্পিং বøকের কাজ বাকী রয়েছে। কর্তৃপক্ষের স্টিমিট অনুযায়ী প্রকল্পে ব্যবহৃত উপকরণ দিয়ে বøক তৈরী করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : জে.এ কাজল খান
Design and developed by syltech