ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০
আব্দুল শহীদ ,সুনামগঞ্জ : চাকরির পেছনে না ছুটে যুব সমাজকে মেধা ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বলেছেন, সরকার চায় এই মুজিব বর্ষে দেশে কেউ বেকার থাকবে না। শুধু চাকরির মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকলে চলবে না। তরুণদের মাঝে যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে- তার চিন্তা এবং মননকে বিকশিত করে কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগাতে হবে। যুব সমাজ নিজে কাজ করবে ও আরো দশ জনকে কাজের সুযোগ করে দেবে।
গত ৩০ জানুয়ারী সকালে তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে (পিএমও) জাতীয় যুব পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে দেশের ২২ জন আত্মকর্মী এবং পাঁচ যুব সংগঠনের মাঝে এই পদক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৬ সাল থেকে প্রদান করা এ পুরস্কারে মোট ৪৪৫ জন আত্মকর্মী সম্মানীত হয়েছেন। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের অগ্রগতি’- এই স্লোগানে আমরা বিশ্বাস করি। কাজেই সেই লক্ষ্য নিয়েই যুব সমাজকে আরো কর্মক্ষম করে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন। যুব ও ক্রীড়া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান খান কবির মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আত্মকর্মী হিসেবে দেশে প্রথম স্থান অধিকারকারী ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান এবং দেশের সেরা যুব সংগঠক (মহিলা) হিসেবে পুরস্কার লাভকারী পারভীন আক্তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার আতিক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হাঁস-মুরগী ও গবাদি পশু প্রতিপালনের প্রশিক্ষণ এবং স্বল্পমূল্যে ঋণ নিয়ে এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ গড়ে তুলেছেন। যার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মূলধনের পরিমান ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ও বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এ দিকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কোঠায় জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের কালিপুর গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম নুর মিয়ার পুত্র এম তাজুল ইসলাম তারেক বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধীকে প্রধানমন্ত্রী সম্মাননা ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এ সময় এম তাজুল ইসলাম তারেক বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পাওয়া এই উপহার। আমি প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার আদায়ে একটি প্রতিবন্ধী সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছি। যার নাম তৃণমুল প্রতিবন্ধী পূর্নবাসন সংস্থা। আমি নিজে না খেয়ে প্রতিবন্ধীদের খাওয়ানোর চেস্টা করি। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সমাজসেবার উপ-পরিচালক, যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের কাছে এই প্রতিবন্ধীদের জন্য সাহায্যের জন্য ছুটে যাই। তাদের কাছ থেকে যে সাহায্য সহযোগিতা পাই তা প্রতিবন্ধীদের মাঝে বিলিয়ে দেই। এ ছাড়াও আমার সংস্থার উদ্যোগে ধর্মপাশা উপজেলায় তৃণমুল অটিস্টিক, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও সমন্বিত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করেছি। বর্তমানে এর শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮১ জন, শিক্ষক-কর্মচারী ২১জন(স্বেচ্ছাসেবী)।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host