পর্যটন খাতের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সিলেট চেম্বার : এটিএম শোয়েব

প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২১

পর্যটন খাতের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সিলেট চেম্বার : এটিএম শোয়েব

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দ ও সিলেটের ট্রাভেল্স ও ট্যুর অপারেটরদের সাথে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এর প্রতিনিধিদলের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকাল ৪টায় চেম্বার কনফারেন্স হলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

সভার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘টেকসই পর্যটন উন্নয়নে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের ভূমিকা : প্রেক্ষাপট সিলেট।’ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব এবং সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের পরিচালক ও পর্যটন সাব কমিটির আহবায়ক খন্দকার ইসরার আহমদ রকী।

 

সভায় প্রতিনিধিদলের প্রধান প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এর মহাসচিব তৌফিক রহমান বলেন, সিলেটে প্রতিবছর ২০-২৫ লক্ষ পর্যটক এসে থাকেন। এসব পর্যকটরা সিলেটে এসে অনেক ধরণের সমস্যায় পড়ে থাকেন। যেমন বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যাওয়ার দিকনির্দেশনার অভাব, যাতায়াত ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, স্যানিটেশন সমস্যা ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি। তিনি এসব সমস্যা থেকে উত্তরণে সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা পর্যটন খাতে বিরাজমান সমস্যাবলী চিহ্নিতকরণ এবং তা নিরসনে কাজ করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা টাঙ্গুয়ার হাওড় সহ সিলেটের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত দর্শনীয় স্থান সমূহ পরিদর্শন করে এসব স্থানে পর্যটকরা যেসব সমস্যায় পড়ে থাকেন সেগুলো চিহ্নিতকরণ ও সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে তা নিরসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এছাড়াও এসব বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করেছি। তিনি সিলেটে পর্যটন খাতে বিরাজমান বাঁধা সমূহ দূরীকরনে সিলেট চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু তাহের মোঃ শোয়েব বলেন, পর্যটন খাতে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে চোখে পড়ার মত উন্নয়ন সাধিত হলেও বর্তমানে করোনা মহামারীর তান্ডবে তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে সময়োপযোগী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, প্রকৃতি কন্যা সিলেটে এখনও অনেক দর্শণীয় স্থান রয়েছে, যা লোকচক্ষুর আড়ালে রয়ে গেছে। এসব দর্শনীয় স্থান সমূহ দেশ এবং দেশের বাইরে পর্যটকগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিও সিলেটের পর্যটন খাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট চেম্বারের দাবীর প্রেক্ষিতে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে এগিয়ে আসায় প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চ্যাপ্টার-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

 

সভায় বক্তাগণ বলেন, সিলেটে প্রায় ৩০০ ট্যুর অপারেটর রয়েছেন। তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হলে পর্যটন খাতে তারা আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। সিলেটের পর্যটন স্পট সমূহের পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ, পর্যটন স্পট সমূহ নোংরা না করা, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সিলেটের পোর্টগুলোতে ভারতের অনএরাইভ্যাল ভিসা চালু সহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

 

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সাবেক সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ, আটাব সিলেট অঞ্চল এর চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন বাবুল, বাংলাদেশ ট্রাভেল রাইটার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আশফাকুজ্জামান উজ্জ্বল, বিডি ইনবাউন্ড এর সভাপতি রেজাউল ইকরাম, হাব এর সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, টিগ্যাব এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মাহবুবুল ইসলাম বুলু, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দিন, হুমায়ুন কবির লিটন, ফখরুল ইসলাম মিয়া, ডাল্টন জহির, প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ, ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটরবৃন্দ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর