দুইয়ের কোটা পার করতে পারেননি ৭ ব্যাটসম্যান
নোয়াখালি এক্সপ্রেসকে হারিয়ে নাটকীয় জয় সিলেট টাইটান্সের

প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>দুইয়ের কোটা পার করতে পারেননি ৭ ব্যাটসম্যান</span> <br/> নোয়াখালি এক্সপ্রেসকে হারিয়ে নাটকীয় জয় সিলেট টাইটান্সের

ক্রীড়াকণ্ঠ ডেস্ক
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও অবশেষে নাটকীয়ভাবে জয়ের দেখা পেয়েছে সিলেট টাইটান্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চতুর্থ ম্যাচে তারা নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে ১ উইকেটে হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে।

শুরুতে টসে জিতে প্রথমে বোলিং নেওয়া সিলেটের বিরুদ্ধে নোয়াখালী এক্সপ্রেস ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে। মাহিদুল ইসলাম আনকন সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। ৪৮ বলের ইনিংসে তিনি ৬ চার ও ২ ছক্কার সাহায্যে দলের রান যোগ করেন। সিলেটের পক্ষে নিয়ন্ত্রিত বোলিং দেখান খালেদ আহমেদ ও সাইম আইয়ুব।

জবাবে ১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেটের শুরুটা ভালো হলেও পাওয়ারপ্লের প্রথম ছয় ওভারে মাত্র ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দল বিপদে পড়ে। জাকির হাসান ১৩ রানে আউট হন, তাকে ফেরান মেহেদী হাসান রানা এবং ক্যাচ নেন হায়দার আলী। এরপর পারভেজ হোসেন ইমন ৪১ বলেই ৬০ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন।

মধ্যবর্তী ওভারে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ম্যাচ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। শেষ ওভারে হাতে থাকে মাত্র এক উইকেট, কিন্তু প্রয়োজনীয় রান সংগ্রহ করে সিলেট ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। জয়ের ফলে বিপিএলের শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ দুই পয়েন্ট নিশ্চিত হলো সিলেট টাইটান্সের জন্য।
এদিকে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে জয় পেলেও ব্যাটিং ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সিলেট টাইটান্সের ইনিংসে। ১৪৪ রানের তুলনামূলক সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলটির ৭ ব্যাটার দুই অঙ্কের রানও করতে পারেননি। ফলে সহজলভ্য এ ম্যাচটি আরও জটিল হয়ে পড়ে সিলেটের জন্য।

ওপেনিংয়ে নেমে খাতা খুলতেই ব্যর্থ হন সাইম আয়ুব। মাত্র ২ বল খেলেই শূন্য রানে ফেরেন তিনি। অন্য ওপেনার রনি তালুকদার ৭ বলে করেন ৯ রান। মিডল অর্ডারেও স্বস্তি দিতে পারেননি আফিফ হোসেন, ৬ বল মোকাবিলা করে করেন মাত্র ৩ রান।

লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং ধস আরও প্রকট হয়। নাসুম আহমদ ও খালেদ আহমেদ—দুজনই ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। শেষ দিকে আমির হোসেন ২ বলে ১ রান ও সালমান ইরশাদ ১ বল খেলে শূন্য রানে অপরাজিত থাকেন।

এক প্রান্তে পারভেজ হোসেন ইমনের দায়িত্বশীল ইনিংস না থাকলে ফল ভিন্নও হতে পারত। তার ৬০ রানের ইনিংসের পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় সহজ ম্যাচ কঠিন হয়ে পড়ে সিলেটের জন্য।

শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে জয় পেলেও সাত ব্যাটারের ব্যর্থতা সিলেট টাইটান্সের ব্যাটিং গভীরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আসরের শুরুতেই এমন ব্যাটিং ধস আগামী ম্যাচগুলোর আগে দলটির জন্য ভাবনার কারণ হয়ে থাকবে বলে মনে করেন খেলা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর