ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহদমদের অনিয়ম-দুনীতির বিরল তথ্য পাওয়া গেছে। কিভাবে এবং কোন পন্থায় তিনি জেলা পরিষদে অনিয়মের রামরাজত্ব কায়েম করে আছেন, অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে থলের সেই কালো বিড়াল। গত ২৩ ফেব্রæয়ারি দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠে “জেলা পরিষদ সিলেটে উপসহকারী প্রকৌশলী হাসিবের রামরাজত্ব” শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুরু হয় তোলপাড়। অনেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন প্রকৌশলী হাসিবকে নিয়ে। জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভাষ্য-প্রকৌশলী হাসিবের হাত অনেক লম্বা। উপর মহলের কর্তাব্যক্তিদের সাথে রয়েছে তার অনৈতিক দহরম মহরম। তাই তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। মিডিয়া সেক্টরের কতিপয় সাংবাদিকের সাথেও রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। তাই তার অনিয়ম-দুর্নীতি ও আত্মসাতের কোন তথ্যই গণমাধ্যেমে প্রকাশ পায় না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্যদের সাম্প্রতিক একাধিক সভায় জেলা পরিষদকে দুনীতিমুক্ত ও পরিষদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনার জন্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমদসহ দীর্ঘমেয়াদে অবস্থানরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে হাসিবকে প্রত্যাহার করা হয়নি। এতে করে জেলা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও অসন্তুষ।
অভিযোগ পাওয়া গেছে- সিলেট জেলা পরিষদের অধীন সিলেট নগরস্থ জেলা পরিষদের ডাকবাংলা সহ বিভিন্ন উপজেলা সদরে অবস্থিত বিভিন্ন ডাকবাংলা সমূহের সংস্কার ও পুনঃনির্মান কাজের নামে উপসহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমদ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। অনেক ডাকবাংলায় কাজ না করিয়েই টাকা লোপাটের অভিযোগও রয়েছে উপসহকারি প্রকৌশলী হাসিবের বিরুদ্ধে। বিশ্বস্থ ও অনুগত ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে প্রকৌশলী হাসিব সরকারী অর্থ আত্মসাত ও লুপাটে অংশীদার হয়ে থাকেন।
অভিযোগ রয়েছে টেন্ডার কারসাজির মাধ্যমে উপসহকারি প্রকৌশলী হাসিব তার পছন্দমসই গুটি কয়েক ঠিকাদারকে জেলা পরিষদের কাজ পাইয়ে দিয়ে থাকেন। আর এতে মোটা অংকের ভাগ বািসয়ে থাকেন তিনি। নি¤œমানের কাজ করিয়ে এমনকি কাজ না করিয়েও কাজ সম্পন্ন হওয়ার রিপোর্ট দিয়ে জেলা পরিষদ থেকে বিল তুলিয়ে ঠিকাদারদের সাথে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন উপসহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমদ ।
তাই জেলা পরিষদের অনেক সদস্য এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী উপসহকারি প্রকৌশলী হাসিবের জ্ঞাতআয় বহির্ভুত সম্পদ এবং তার অনিয়ম দুনীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের তদন্ত দাবি করেন।
এদিকে গত ২৩ ফেব্রæয়ারি দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর ক্ষেভে রাগে-ফেটে পড়েন উপসহকারি প্রকৌশলী হাসিব। তিনি পত্রিকার সম্পাদক-সাংবাদিকদের এক হাত করে নেয়ারও হুংকার দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ।
অভিযোগের বিষয়ে সিলেট জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসিব আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অবজ্ঞার সূরে ব্যঙ্গ করে বলেন “অইছে ভাই বহু বক্তব্য দিছি, আর না,অফিসে এসে বক্তব্য নিয়ে নেন”।
সিলেট জেলা পরিষদের উপসহকারী প্রকৌশলী হাসিবের অনিয়ম আত্মসাত বিষয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধ্যান অব্যাহত রয়েছে। অনুসন্ধ্যানী টিমের বিস্তারিত প্রতিবেদন অচিরেই প্রকাশ পাবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host