সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
পুলিশের সহযোগিতায় ভিটেমাটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:০৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২১

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন</span> <br/> পুলিশের সহযোগিতায় ভিটেমাটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
প্রতিবন্ধি রিয়াজ আলীর একমাত্র পৈতৃক সম্পত্তি ভিটেমাটি কেড়ে নিতে বিভিন্ন মিথ্যে মামলা ও অপবাদ দিয়ে হয়রানি করছে ভূমিখেকো চক্র। ভূমিখেকো চক্রের এমন অন্যায় কাজে সহযোগিতা করছে খোদ পুলিশ। এসব আভিযোগ করেছেন সিলেট সদর উপজেলার সহেবের বাজার এলাকার লিলাপাড়া ছড়ারপার গ্রামের মৃত ফুরকান আলীর ছেলে মো. রিয়াজ আলী (৭০)। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি।

 

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি ভূমিখেকো চক্র আমার ভিটেমাটি কেড়ে নিতে মামলাসহ আরও নানা অপবাদ দিয়ে আমাদের হয়রানি করেই চলছে। তাদের মিথ্যা অপবাদের কারণে আমি এতই অপদস্ত যে, এখন সপরিবারে আত্মহত্যার চিন্তাও করতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। ওই চক্রের হয়ে কাজ করছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়াপোর্ট থানা পুলিশ।

 

রিয়াজ আলী বলেন, আামি একজন অসহায় প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে প্রায় অচল। আমার পৈতৃক সম্পদ বলতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একমাত্র ভিটে। এই ভিটের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে সিলেটের এক কুখ্যাত ভূমিখেকো ও মামলাবাজের। ঐ ভূমিখেকো কোনভাবে আমার ভিটে দখল করতে না পেরে আমার সন্তানদের বিরুদ্ধে চুরি ও চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 

তিনি বলেন, ঐ ভূমিখেকোর কেয়ারটেকার নগরের তোপখানা এলাকার মৃত মখলিছ আলীর ছেলে আক্কাছ আলী আমার সন্তানদের উপর মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে এয়ারপোর্ট থানায় গত ১০ জুলাই একটি চুরি, চাঁদাবাজি ও ক্ষতিসাধনের মামলা দায়ের করেন। আক্কাছ আলীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রেকর্ডের আগে দুইবার তদন্ত কর্মকর্তা পাল্টানো হয়েছে। আগের ২ কর্মকর্তা তাদের তদন্তে অভিযোগের কোন সত্যতা পান নি বলে আমরা জেনেছি। পরে আবার মামলাটি কিভাবে রেকর্ড করা হয় তা আমার বোধগম্য নয়।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই ভূমিখেকো ও তার কেয়ারটেকারের ইশরায় আমার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে অসহায় নারী ও শিশুদের হয়রানী করছেন। এর আগে ২০১৬ সালেও ঐ ভূমিখেকো চক্র আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে চুরির মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। তারও আগে ২০১৫ সালেও মিথ্যা অভিযোগে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল তারা। তাদের মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত এসব মামলায় আমরা বেকসুর খালাস পেয়েছি। ভূমিখেকো চক্রের দেয়া অপবাদ ও মিথ্যা অভিযোগের কারণে আজ আমি সন্তানদের নিয়ে বারবার সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।

 

তিনি বলেন, আমাদের বাড়ির জমিজমা নিয়ে আমার ভাইদের সাথে স্বত্ত্ব মোকদ্দমা আদালতে বিচারাধীন। এ অবস্থায় কেয়ারটেকার আক্কাছ ওই ভূমিখেকোর হয়ে আমার ভিটে দখল করতে মরিয়া হয়ে এলাকার দুষ্ট ও সন্ত্রাসী চক্রের সহযোগীতায় আমাদের নানা মাধ্যমে বারবার হুমকি ধমকি দিয়েই যাচ্ছে। আমি ও আমার সন্তানরা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে বাঁচতে চাই। কিন্তু পুলিশ আর ভূমিখেকোদের হয়রানির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

 

এ ব্যাপারে গত ২৩ মে ও ২৮ জুলাই এসএমপি কমিশনার, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ২৮ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইজিপি বরাবর আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। আমি চরম দরিদ্র একজন মানুষ। এ অবস্থায় ভূমিখোকোদের দেয়া মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা চালাতে আজ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন আর আমাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই। আত্মহত্যা ছাড়া আমরা আর কোন উপায় দেখছি না। ভিটেমাটি ও আত্মহত্যা থেকে রক্ষা এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে আমার পরিবারকে বাঁচাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি সবিনয় অনুরোধ জানাই।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর