যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ১৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল
একদিনেই গাজায় ফিরলেন ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ১৯ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল</span> <br/> একদিনেই গাজায় ফিরলেন ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিনে হাজারো বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি গাজা নগরে ফিরতে শুরু করেছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত শহরে ফিরে কেউ হতবাক ধ্বংসযজ্ঞে, কেউবা স্বস্তি পেয়েছেন ঘর এখনও টিকে আছে জেনে। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরাইল।
যুদ্ধবিরতির সুযোগে রাজা সালমি নামের এক ফিলিস্তিনি নারী পায়ে হেঁটে ফিরে গেছেন গাজা নগরের নিজের বাড়িতে। কয়েক সপ্তাহের বিমান ও স্থল অভিযানে ওই অঞ্চলে তীব্র বোমাবর্ষণ হয়েছিল—যেখানে ইসরাইলি বাহিনীর দাবি অনুযায়ী হাজারো হামাস যোদ্ধা অবস্থান করছিল।
রাজার ভাষায়, ‘আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটেছি। প্রতিটি পদক্ষেপে ভয় ও উৎকণ্ঠা ছিল—বাড়িটা আদৌ আছে কি না।’ তিনি যখন আল-রিমাল পাড়ায় পৌঁছান, দেখেন তার ঘরটি আর নেই।
‘এটা আর কোনো ঘর নয়—শুধু ধ্বংসস্তূপ। আমি সেখানে দাঁড়িয়ে কেঁদেছি। আমার সব স্মৃতি এখন শুধু ধুলো,’ বলেন সালমি।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, শনিবার একদিনেই প্রায় ৫০ হাজার মানুষ গাজা নগরে ফিরেছেন।
সংস্থার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মুগাইয়ির বলেন, ‘গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট প্রায় আড়াই লাখ মানুষ গাজা নগরে ফিরে এসেছেন।’
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও দখলদার ইসরাইলের মধ্যে ঘোষিত যুদ্ধবিরতির পরও ইসরাইল গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বর্বর বাহিনী। শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে নতুন করে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া এদিন গাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫৫ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসাকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
একই সূত্রের বরাত দিয়ে শনিবার জানানো হয়, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি আবাসিক এলাকায় ঘাব্বুন পরিবারের বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় ১৬ জন নিহত হন।
এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনুসের কাছাকাছি এক বিমান হামলায় আরও দুই ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং পূর্ববর্তী হামলায় আহত একজন ফিলিস্তিনির চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়।
বোমাবর্ষণের মাত্রা কিছুটা কমে আসায় এবং ইসরাইলি সেনারা গাজার কয়েকটি অঞ্চল থেকে সরে যাওয়ায় উদ্ধারকারী দলগুলো অবশেষে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া পাড়া-মহল্লায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। তারা গত দুই বছরের ধারাবাহিক ইসরাইলি হামলায় নিহতদের লাশ উদ্ধার করছে। সূত্র: মেহের নিউজ

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর