ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৫
এম. এ ওয়াহিদ চৌধুরী
পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন আর শুভাকাক্সিক্ষদের শোকাশ্রুতে ভাসিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সোনাসার নিবাসী খ্যাতিমান দানবীর, সোনাসার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বারবার নির্বাচিত সভাপতি, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবী এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব হাফিজ মাওলানা মো. আব্দুল খালিক(৭৫)।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নয়া বাজার হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে রবিবার (২ নভেম্বর) রাত পৌনে ৮টার সময় মাউন্ট এডোরা হসপিটালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি…. রাজিউন)।
তিনি একাধারে নয়াবাজার হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির জননন্দিত সভাপতি, সিলেট সুবহানিঘাট হাজী নওয়াব আলী জামে-মসজিদ পরিচালনা কমিটির সম্মানিত উপদেষ্টা ছিলেন।
তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর চিকিৎসারত অবস্থায় এই নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নেন। একজন মুত্তকী ও পরহেজগার এবং খোদাভিরু ছিলেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি স্ত্রী ২ ছেলে ৩ মে সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন, সহযোদ্ধা ব্যবসায়ী ও আলেম সমাজ সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সিলেটে অনেক বাসা বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ মসজিদ মাদরাসার খেদমতগার ছিলেন।
অত্যন্ত সরল ও সামাজিক মনের অধিকারী একজন নিরহংকারী সমাজসেবক ছিলেন। কোনদিন সমাজের অসহায় কাউকে ফিরিয়ে দেননি এবং সর্বদা ক্যামেরার আড়ালে দান সদকা করতেন। হাত মুট করিয়ে কোনদিন ও কাউকে দেখিয়ে নয়।
সাদা পাঞ্জাবি টুপি ও লম্বা দাড়ি থাকতো সবসময়। নামাজ রোজা ও তেলাওয়াত, জিকির ও মিলাদ ছিলো তাঁর খুবই পছন্দময়। দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট সোনাসার শাখার নাজিম ছিলেন।
সিলেটে থাকাকালীন অবস্থান করতেন উপশহরের নিজ বাসায় এবং দায়িত্ব পালন করতেন সোবহানীঘাট হাজী নওয়াব আলী জামে-মসজিদের এভাবেই কেটে গেলো জীবনের বার্ধক্যজনিত সর্বশেষ সময় ও।
তাকে হারিয়ে বাকরূদ্ধ অসহায় সমাজের নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষজন। আত্বীয় স্বজন সহ পূরো জকিগঞ্জে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host