ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২৫
মো. রুবেল আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ
সিলেট কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এমনিতেই পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা হওয়াতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলা ও প্রান্ত থেকে ভ্রমণের জন্য আসা পর্যটকদের বহনকারী গাড়ির আনাগোনা বেশি। তাই কোম্পানীগঞ্জ মহাসড়কটি ব্যস্ততম সড়কের একটি। তারপরে ও মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাখায় এতে করে অনেক প্রাণহানি হচ্ছে। যার ক্ষতি অপূরণীয়। আর এই দুর্ঘটনা ঘটার মূল কারণ হলো রাস্তার উপরে যত্র-তত্র গাড়ি পার্কিং।
এ পর্যন্ত যতগুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে তার ৭৫ ভাগই রাস্তার উপর গাড়ি রাখার কারণে ঘটেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এদিকে ক্ষয়ক্ষতির শিকার, ভুক্তভোগী পরিবার এবং সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাস্তার উপরে গাড়ি রাখার কারণে রাস্তা পার হওয়ার সময় বা শাখা রোড থেকে মেইন রোডে গাড়ি উঠার সময় গাড়ির জন্য দু পাশ দেখা যায় না। এ অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটছে। দীর্ঘদিন যাবত লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের গেইটের ৮ থেকে ১০ গজ উত্তর পাশ থেকে লাছুখাল বাজার পর্যন্ত রাস্তার উপর ট্রাকের দীর্ঘ সারির লম্বা অবস্থান। কোম্পানীগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও এখানে ডিউটি করেছেন- তবুও ট্রাক গাড়ির জটলা সৃষ্টির কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দৃশ্যটা আগে সবথেকে বেশি ছিল চকবাজার (বউ বাজারে) ও সাকেরা এলাকায়।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জ টুকের বাজারের স্ট্যান্ডের আশেপাশে যত্রতত্র ব্যাটারি চালিত অটো পার্কিং করে রাখে। এতে করে আরো বেশি জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষের প্রচুর ভিড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। মাঝে মধ্যে ১-২জন পুলিশকে দেখা যায় পরিস্থিতি সামালে নিয়োজিত থাকতে।
অপরদিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভোলাগঞ্জ মহাসড়কে পুলিশ চেকপোস্ট থাকা সত্ত্বেও চেকপোস্টের ২০ গজ উত্তর দিক থেকে রাস্তার উপরে গাড়ির অবাধ লাইন। জনসাধারণের দাবি- এখানে ট্রাফিক কন্ট্রোল এর দায়িত্ব যারা পালন করে তাদের ভূমিকা দায়সারা টাইপের। কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও এর কোন প্রতিকার মিলেনি এখনও। স্থানীয় জনমনে নেতিবাচক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- এখানে প্রশাসনের ভূমিকা ধীরগতির। রাস্তার উপরে যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিং বন্ধ না করলে সড়ক দুর্ঘটনা কখনোই কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাবাসী। পরিস্থিতি উন্নয়নে স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা আরও গতিশীলতা আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট পাংকু তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মহাসড়কে থাকা গাড়িগুলো পার্কিং এরিয়ায় রাখার অনুরোধ ও জানিয়েছি।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ তালুকদার বলেন, আমি নিজেও প্রায় সময়ে অভিযানে বের হলে গাড়ির পার্কিং দেখতে পাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের অনুমতি নিয়ে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host