ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৫
সুয়েব রানা, জৈন্তাপুর
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিখ্যাত লাল শাপলা বিল এখন ধীরে ধীরে কচুরিপানার বিলে রূপ নিচ্ছে। একসময়ের মনোমুগ্ধকর এই জলাশয়টি প্রকৃতির স্বাভাবিক পরিবর্তনের পাশাপাশি অবহেলা ও পরিচর্যার অভাবে আজ বিলুপ্তির মুখে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ইয়াম, হরফকাটা, ডিবি ও কেন্দ্রিÑএই চারটি বিল মিলে প্রায় ৯০০ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই লাল শাপলা বিল। ২০১৬ সালে সংবাদমাধ্যমে প্রচারের পর বিলটি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি পায়। তবে চলতি বছরে ইয়াম বিলের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা এখন কচুরিপানায় ঢেকে গেছে। কচুরিপানার কারণে লাল শাপলার গাছ নষ্ট হচ্ছে, ফলে দ্রুত বিলিন হচ্ছে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
স্থানীয়রা জানান, বিলের সৌন্দর্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “লাল শাপলা সুরক্ষা কমিটি” গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু এ কমিটির কার্যক্রম এখন প্রায় অকার্যকর। তাদের অভিযোগ, নৌকা থেকে আদায় করা অর্থ দিয়ে বিলের বাঁধ মেরামত ও শাপলা রক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর কাজ হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, প্রতিবছর পর্যটকদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হয়, কিন্তু বিলের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। প্রশাসনের নজর না থাকলে শিগগিরই পুরো বিল কচুরিপানায় ভরে যাবে।
পরিবেশপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ মনে করছেন, অবিলম্বে উদ্যোগ না নিলে আগামী বছরগুলোতে লাল শাপলার পরিবর্তে কচুরিপানা ফুলে ঢেকে যাবে পুরো এলাকা, বিলুপ্ত হবে জৈন্তাপুরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ‘লাল শাপলা বিল’।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জমিত্র চাকমা বলেন, লাল শাপলা বিলের এমন পরিস্থিতির বিষয়টি আগে কেউ আমাকে জানায়নি। এখন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে এবং কচুরিপানা অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকৃতিপ্রেমীরা প্রশাসনের দ্রুত উদ্যোগ কামনা করেছেন, যাতে জৈন্তাপুরের এই অনন্য প্রাকৃতিক সম্পদটি টিকে থাকে তার নিজস্ব সৌন্দর্যে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host