সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার দু’দিন পর উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং!

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৯

সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার দু’দিন পর উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং!

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর গ্রামের এলজিইডি রাস্তার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার দুই দিন পরেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং ! এলাকাবাসীর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সিডিউল অনুসারে সংস্কার কাজ না করায় রাস্তাটির এমন বেহাল দশা হয়েছে।

.
এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জায়ফরনগর ইউনিয়নের ভোগতেরা বিশ্বনাথপুর সড়ক এবং পাশের গৌরীপুর এলাকার মাত্র এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক পাকাকরনের টেন্ডার আহবান করে এলজিইডি। প্রায় ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দের এ কাজটি পান মৌলভীবাজারের ঠিকাদার নোমান আহমদ। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর তিনি কাজ শুরু করেন। কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২৮ মে কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে পারেননি। এরপর সড়কের শেষের দিকের কাজের দায়িত্ব দেয়া হয় বড়লেখার ঠিকাদার কামাল হোসেনকে। গত ১০ অক্টোবর গৌরীপুর এলাকায় ১৯৬ মিটার সড়কের পাকার কাজ শুরু করেন তিনি। গত রোববার (১৩ অক্টোবর) ঠিকাদারের লোকজন রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেন।
১৬ অক্টোবর সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, সড়কের কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদার সেখানে ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার পুরুত্ব দিয়েছেন। বিটুমিনের পরিমানও কম দেয়ায় নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে টান দিলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
এনিয়ে প্রতিবাদ করায় ঠিকাদারের লোকজন হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলেও এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা জানান, নি¤œানের কাজের অভিযোগ পেয়ে তিনি সরেজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন এবং কাজ বন্ধ রাখতে শ্রমিকদের বলেছিলেন। পরে জুড়ি উপজেলা পরিষদের বিগত মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।

.
অভিযোগ বিষয়ে জানতে ঠিকাদার কামাল হোসেনের মোবাইল ফোনে সংবাদকর্মীরা একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন কেটে দেয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জুড়ী এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন খান জানান, কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ সঠিক হয়েছে। কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ২৫ মিলিমিটার সিডিউলে ছিল। তবে স্থান ভেদে এক-দুই স্থানে এদিক-সেদিক হতে পারে।
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক জানান, অভিযোগ পেয়ে তারাও রাস্তাটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এসময় এলাকাবাসী তাদের কাছে রাস্তার কাজের অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর