ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২০
ডেস্ক প্রতিবেদন : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ১০ মাদ্রাসাশিক্ষার্থীর চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নে মকরমপুট্টি ইকরা ক্যাডেট মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় সন্ধ্যায় অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওই শিক্ষককে গালাগাল করেছেন। এ ঘটনায় এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে আগামী শুক্রবার সালিশবৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসার ক্লাস চলাকালীন দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১০ শিক্ষার্থীর এলোমেলোভাবে চুল কেটে দেন ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান।
এ নিয়ে এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে ওই ১০ শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। এলাকার গণ্যমান্য ও মুরব্বিরা এ ঘটনায় উপযুক্ত সালিশ করে দেবেন বলেও ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের শান্ত করেন। আগামী শুক্রবার ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এক সালিশবৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত সোমবার শিক্ষক মিজানুর রহমান তাদের চুল ছোট করে কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেন। পরে তারা চুল ছোট করে কেটে মাদ্রাসায় আসেন। অনেক শিক্ষার্থীর চুলকাটা মিজান স্যারের পছন্দ না হওয়ায় তিনি শ্রেণিকক্ষে কেচি দিয়ে এলোমেলো ও গর্ত করে ১০ জনের চুল কেটে দেন। অভিভাবক লিটু মাতুব্বর জানান, মাদ্রাসা থেকে ছেলে বাড়ি এলে তার স্ত্রী দেখতে পায় ছেলের চুল এলোমেলো ও বিকৃতভাবে কাটা।
এ ব্যাপারে তার ছেলের কাছে জানতে চাইলে সে বলে, মিজান স্যার এভাবে চুল কেটে দিয়েছে। চুল কাটার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে অভিভাবক ও এলাকাবাসী মাদ্রাসায় গিয়ে প্রতিবাদ ও শিক্ষকের বিচার দাবি করে গালাগাল করেন।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। তবে কোনো শিক্ষক ছাত্রদের এলোমেলোভাবে চুল কাটতে পারেন না। আমি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host