ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২০
ডেস্ক প্রতিবেদন :: সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এসআইইউ) সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও অর্থ পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুশান্ত আচার্য্যকে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও নানাভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেন।
সুশান্ত আচার্য্যর বিরুদ্ধে এর আগেও স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারকে কোন ট্যাক্স দেয়া না লাগলেও তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ট্যাক্স দিয়েছেন উল্লেখ করে টাকা আত্মসাত করেছেন এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগে রয়ছে তার বিরুদ্ধে, নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করেই অদৃশ্য ক্ষমতা বলে নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে এসব অনিয়ম করেছেন, একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য দেন। তার পছন্দের ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ লাগিয়েছিলেন । কেউ তার সিদ্ধান্তের বাহিরে অবস্থান নিলে নানাভাবে হয়রানি করতেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকায় ল্যাপটপ ক্রয় করা হলেও সেটি ব্যবহার করতেন সুশান্ত আচার্য্য। বাদ যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোমেশন পদ্ধতিও। বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোমেশন চালু করতে না পারলেও এককালীন তিনি ২২ লাখ টাকা খরচ করেছেন এই খাতে। অথচ এই প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অনুমোদনই হয়নি। তবে অনুমোদন না হলেও এই কাজের জন্য তিনি প্রতি মাসেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়েছেন তিন হাজার টাকা করে।
এছাড়া অটোমেশন কাজের চুক্তিতেও নেয়া হয়েছে প্রতারণার আশ্রয়। এখানে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে একই ব্যক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্টানটি যদি কাজ ঠিকমতো না করতে পারে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা তথ্য উপাত্ত আবার বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছের ফিরিয়ে দেবে না। এই কারণে ভুগতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। কারণ অটোমেশন কাজ চালু না হলেও শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট চলে গেছে সেই প্রতিষ্ঠানের কাছে।
এখানেই শেষ নয় সুশান্ত সাম্রাজ্য। নিজের বাসায় ওয়াইফাই কিংবা নিজের প্রয়োজনে ল্যাপটপ ক্রয় করতে পারলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির জন্য গাড়ি ক্রয়ে আগ্রহ দেখান নি তিনি। এজন্য গত ৭ বছর থেকেই দৈনিক ভাড়ার গাড়িতে চলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এজন্য মাসে বিশ্ববিদ্যালয়কে খরচ করতে হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের আত্বীয়-স্বজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি দেয়া, নিজেরে ইচ্ছে মতো ছুটি, ক্লাস নিতে অনীহা, পরীক্ষার বিল আটকে দেয়াসহ এমন নানা অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। নসরত আফজা চৌধুরী রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host