ঢাকা ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০
আফতাব চৌধুরী : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট ১ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ বাংলাদেশের মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন। দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও জনগণের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ সিলেটের আলোকিত হাফিজ পরিবারের কৃতি সন্তান। বাবা ছিলেন খ্যাতনামা আইনজীবি ও শিক্ষাবিদ সিলেট ‘ল’ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আবু আহমেদ আব্দুল হাফিজ, মা সৈয়দা শাহারবানু নানা গুণে গুণান্বিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষানুরাগী, সমাজকর্মী বিদুষী একজন মহিলা।
বিশিষ্ট গবেষক, সাহিত্যিক, কুটনীতিবিদ, অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত লেখক ড.মোমেন ১৯৪৭ সালের ২৩শে আগষ্ট জন্মগ্রহণকারী মেধাবী ছাত্র, শিক্ষক এবং শিক্ষকদেরও শিক্ষক, সফল আমলা, কুঠনীতিক ও রাজনীতিবিদ। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে রাজনীতিতে যোগদান করেই বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাংসদ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী।
গবেষক ড.মোমেন তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে-‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, প্রায় ৪১৫ পৃষ্ঠার বই দু’টো ব্যক্তিগত কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাকে উপহার হিসাবে পাঠিয়েছেন আমার বাসায়, আমি কৃতজ্ঞ।
ঝকঝকে সাদা কাগজে ছাপা এবং চমৎকার মলাটে আবদ্ধ বই দুটো এখন আমার পড়ার টেবিলে। হাতে নিয়ে বই দুটো ওলট পালট করে করে মনে হলো এগুলো পড়ে আমি কেন যে কোনো মননশীল পাঠক, লেখকের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ হবে। সিদ্ধান্ত বই দুটি আদ্যপান্থ পড়বো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিব এর অক্লান্ত শ্রম বিশেষ করে তাঁর সুযোগ্য তনয়া হাসিনার চার বারের প্রধানমন্ত্রীত্বকালে দেশ ও জাতির প্রতি অবদান রাজনৈতিক দর্শন-‘দূরদর্শিতা সাফল্য এবং এ দেশের উন্নয়ন সম্বন্ধে তার মনোভাব জানার একটা উত্তম মাধ্যম। উন্নয়ন কর্মকান্ডে নিবেদিতপ্রাণ এবং প্রেরণার প্রতীক সাহিত্য সাধক ড.মোমেন ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ বইয়ের কোন এক জায়গায় গুরুজনদের উদ্বৃতি দিয়ে লিখেছেন ‘এক লাইন লেখার আগে অন্তত ২০ লাইন পড়ে নাও’। চমৎকার এ উপস্থাপনা, অবনতমস্তকে স্বীকৃত।
আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি অনেক অজানা তথ্যে সমৃদ্ধ সার্বক্ষণিক টেবিলে রাখার মত সুখপাঠ্য, সহজ-সরল ভাষায় উপস্থাপিত বই দুটো রেফারেন্স বুক হিসাবে যুগ যুগ ধরেই কাজে লাগবে। এগুলোর প্রচার, প্রচারণা প্রয়োজন।
সালাম, বিনম্র শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন ড.মোমেন আপনাকে। সমাজসেবা, সাহিত্যসাধনা, সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতিক, উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী উন্নয়নে আপনার বহুবিধ কর্মযাত্রা অব্যাহত থাকুক, প্রত্যাশা আমাদের-আমিন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host