ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২১
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
বেশ বড় একটি বাজেট দিয়ে সুনামগঞ্জের-জগন্নাথপুর সড়কে নির্মাণ করা হচ্ছিলো সেতুটি। আর সেতুটিকে ঘীরে জাল বুনেছিলো হাজারো স্বপ্ন। কষ্ট লাঘবের আশা নিয়ে বুক বেঁধেছিল স্থানীয় জনতা। কিন্তু উদ্বোধনের আগেই সব আশায় বালি ছিটিয়ে ধসে পড়লো সেতুটি।
সোমবার ভোর রাতে গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাক বিকল হয়ে সেতুটি ধসে গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিকল্প সড়ক থাকায় ধসের কারণে সড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ব্রিজের ৫টি গার্ডার ভেঙে গেছে। প্রায় ২ বছর থেকে ব্রিজটি নির্মাণ কাজ চলছিলো। প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জন শ্রমিক ব্রিজের কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা গফুর মিয়া বলেন, সেতুটি কাজ যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পেয়েছে তার কাজ খুব ধীরগতি ও নিম্নামানের জিনিসপত্র ব্যবহার করেছে বলেই সেতুটি ভেঙে গেছে। সরকারের উচিত এদের বিচারের মধ্যে নিয়ে আসা, সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ করা উন্নয়ন প্রকল্পে এমন অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়কে ৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বাস্তবায়নের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এএম বিল্ডার্স।
সওজ জানায়, সোমবার ভোরে অন্যস্থানে তৈরি করা গার্ডার সেতুর পাটাতনের উপর বাসানোর কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এসময় চারটি হাইড্রোলিক জ্যাকের একটি বিকল হয়ে গেলে সেতুটি ধসে গিয়ে মাটিতে বসে যায়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এএম বিল্ডার্সের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন, গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাক বিকল হয়ে যাওয়া এই দুর্ঘটনাটি ঘটে তবে যেই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পুরোটা আমরা বহন করবো এবং খুব দ্রুত সেতুটি আবারও নির্মাণ কাজ করা হবে তবে তিনি কাজে কোন রকমের অনিময় হয়নি বলেও জানান।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, গার্ডার ধ্বসের ফল সেতুর মূল কাঠামোর কোনরূপ ক্ষতি হয়নি। ধসে যাওয়া গার্ডারগুলো ঠিকাদার তার নিজ খরচে অপসারণ করে নতুন করে করে গার্ডার বসিয়ে দিবেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host