ঢাকা ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২১
কোথাও স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী ১৪ এপ্রিল সর্বাত্মক লকডাউন। তা বহাল থাকবে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত। প্রয়োজনে সেটি আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। লকডাউনে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এ অবস্থায় দোকানপাট ও পরিবহন বন্ধ থাকতে পারে বা পণ্যের দাম আরও দুই/তিনগুণ বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় সিলেটের বিভিন্ন হাট বাজারে লঙ্কাকান্ড শুরু হয়েছে।
জানা যায়, সিলেটে একদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা, অন্যদিকে আসন্ন রমজান ও কঠোর লকডাউন উপলক্ষে কেনাকাটা করতে সিলেটের কাঁচাবাজার ও মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে সিলেটসহ সারা দেশে চলছে দ্বিতীয় দফা লকডাউন। এসময় মার্কেট ও দোকানপাট খোলার সরকারি অনুমতি থাকলেও বার বার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা এবং পরামর্শ দেয়া হলেও কেউ মানছে না এসব। প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানাও করা হচ্ছে অনেক দোকানে। কিন্তু কিছুতেই দমানো যাচ্ছে না চরম অসতর্ক ক্রেতা-বিক্রেতাদের।
সোমবার নগরের বন্দরবাজারস্থ হাসান মার্কেট, জিন্দাবাজার, নয়াসড়ক ও আম্বরখানা ঘুরে দেখা গেছে, কাপড় ও জুতার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। কোনো কোনো দোকানে তিল ধারণেরও জায়গা নেই। ভিড় করে যেন ঈদের কেনাকাটা করছেন পুরুষ-মহিলা-শিশুসহ সব বয়েসি মানুষ। তাদের বেশিরভাগের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস। শারীরিক দূরত্বের তো বালাই নেই। মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় সিলেটে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়লেও তাতে যেন এদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
কাপড় কিনতে আসা নগরের শিবগঞ্জের মাহমুদ আসান নামের এক যুবক জানালেন, কী হবে এত ভয় করে? লকডাউনের কারণে গত বছর ঈদেও সুবিধামতো কেনাকাটা করতে পারিনি। এবারও যদি কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসলে তবে ঠিকমতো ঈদে কেনাকাটা করতে পারবো না। তাই এখনই কেনাকাটা সেরে ফেলছি।
হাসান মার্কেটের আনিস নামের এক কাপড়ব্যবসায়ী বলেন- কী করবো ভাই, করোনার জ্বালা থেকে পেটের জ্বালা বেশি। অবশ্য ক্রেতাদের বার বার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করছি আমরা। কেউ মানে, কেউ মানে না।
দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় এবং বিধি অমান্য করার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. নুরে আলম শামীম বলেন, ‘বিভাগের মধ্যে সিলেট ও মৌলভীবাজার রয়েছে করোনার ভয়াবহ ঝুঁকিতে। এই দুই জেলায় আক্রান্ত বাড়ার কারণ হচ্ছে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থান থেকে লোকজন আসা।
তিনি বলেন, কয়েকদিন থেকে সিলেট জেলায় বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর প্রধান কারণ হলো- জনগণের অসেচতনতা, বাজার-হাট ও দেকানপাট-মার্কেটে জনসমাগম এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা ইত্যাদি। এখনই সিলেটের মানুষকে সচেতন না হলে এর চড়া জন্য মূল্য দিতে হবে।’
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host