ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঈদুল আযহায় সিলেট নগরে পশু কোরবানির জন্য ৩০টি স্থান নির্ধারণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন( সিসিক)। নির্ধারিত এসব স্থানে কোরবানি প্রদানের জন্য নগরবাসীকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের ৩০টি স্থানকে পশু কোরবানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
সিসিকের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে নগরবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দয়া করে কেউ রাস্তাঘাটে কোরবানি দিবেন না এবং ড্রেন, ছড়া বা খালে কোরবানির বর্জ্য ও পশুর চামড়া ফেলবেন না। তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া যত্রতত্র রাখবেন না। যার যার বাসা-বাড়িতে পশুর চামড়া রাখবেন। কোভিড-১৯ মহামারির এই সময় বিবেচনায় কোরবানির বর্জ্য ছড়িয়ে যাতে পরিবেশ বিপর্যস্ত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে নগরবাসির প্রতি আহবান জানান মেয়র।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঈদ উল আযহায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সিসিক। কোরবানির পশু বিক্রি ও কোরবানির পশু জবাইয়ে উৎপাদিত বর্জ্য ২৪ ঘন্টার মধ্যেই অপসারণ করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, এবার বর্জ্য অপসারণ কাজে প্রায় ২ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী নগরজুড়ে কাজ করবে। থাকবে ৩ স্থরে মনিটরিংয়ে ব্যবস্থা জানান সিসিক মেয়র।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডকে ৩টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এসব জোনে বাস্তবায়নকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার রুমা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বপালন করবেন সিসিকের পরিচ্চন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কাজে সিসিকের বিভিন্ন স্থরের ৯০ টি গাড়ি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হবে। মাঠে কাজ করবেন প্রায় ২ হাজার কর্মী। এছাড়া ২৭ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম মনিটরিং করতে ৯ জন মনিটরিং অফিসার মাঠে কাজ করবেন।
এদিকে, ঈদে পশু কোরবানির জন্য সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ৩০টি কোরবানির কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি সেন্টারে কোরবানির সরঞ্জাম যেমন- চাটাই, টুকরি, সাবান, পানি, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি দেয়া হবে। কোরবানির জন্য ২ জন সহায়তাকারী থাকবেন প্রত্যেকটি কেন্দ্রে।
গত কয়েক বছর ধরেই ইদে কোরবানির জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিচ্ছে সিসিক। তবে সিসিকের নির্দেশনা না মেনে যত্রতত্র পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। তবে এবার নজরদারি কার্যক্রম জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host