ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৪৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
সিকৃবি সংবাদদাতা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর আহত ওমর ফারুকের চোখে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এর আগে শুক্রবার রাতেই তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এ তথ্য জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মনিরুল ইসলাম জানান, ওমর ফারুককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাতেই ঢাকায় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে প্রেরণ করা হয়। সেখানে আজ দুপুরে তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। সে এখন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছে। আমরা তার নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি।
সংঘর্ষে অপর আহতদের আঘাত গুরুতর নয় জানিয়ে তিনি বলেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সংঘর্ষের কারণ খুঁজে বের করা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শনিবার ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
আহত ওমর ফারুকের একাধিক সহপাঠী জানান, ওমর ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী।
তারা জানান, শুক্রবার সংঘর্ষকালে ইটের টুকরো ওমর ফারুকের চোখে এসে পড়ে। এতে তার চোখের মনি ফেটে যায়।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বে শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এ সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন আহত হন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে আশিকুর রহমানকে সভাপতি ও মো. এমদাদুল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এনিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল তাদের বিরোধী একটি পক্ষ। শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ছাত্রলীগের কর্মীসভার আয়োজন করে নতুন কমিটি। তবে বিরোধী বলয়ের নেতারা এতে আপত্তি জানান। শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে বিরোধী বলয়ের নেতাকর্মীরা কর্মীসভাস্থলের দিকে গেলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। দুপক্ষই দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পরস্পরকে ধাওয়া করে। এতে ৬ জন আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান অভিযোগ করেন, কোন ধরণের উস্কানি ছাড়াই ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শরীফ হোসাইন, সাব্বির মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন ও আকাশ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কর্মীসভায় হামলা করা হয়েছে। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের প্রতিহত করে।
ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থবির করে রাখতে এই হামলার চালানো হয় বলে দাবি আশিকের।
এদিকে, ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও আতংক ছড়িয়ে পড়ে। দুপক্ষেই হলে সশস্ত্র অবস্থান নিতে দেখা যায়।
সহ সভাপতি সাব্বির মোল্লা ও তার অনুসারী জুনায়েদ আহমেদ শাহপরান হলে ঢুকে কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এই কক্ষগুলোতে সভাপতি আশিকুর রহমানের অনুসারীরা থাকতেন বলে জানা গেছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host