যে দাবি নিয়ে ভূমি উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করলেন চারিকাটা ইউনিয়নবাসী

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২৫

যে দাবি নিয়ে ভূমি উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করলেন চারিকাটা ইউনিয়নবাসী

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
জৈন্তাপুরে চারিকাটা ইউনিয়নে ‘দি মেঘালয় টি এস্টেট এন্ড খোদেজা বহুমুখী ফার্ম লি’ নামীয় চা-বাগানের ভূমির ইজারা বাতিল ও চারিকাটা ইউনিয়নের পাঁচ মৌজা বাসির বসতভিটা রক্ষা ও প্রতি’টি পরিবারের নামে স্থায়ীভাবে ভূমি বন্দোবস্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে ভূমি উপদেষ্টা ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব ও সিলেটের সাবেক জেলা প্রশাসক আলী ইমাম মজুমদার বরাবর একটি লিখিত আবেদন প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ভূমি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের দপ্তরে সাক্ষাৎ করে এলাকাবাসীর পক্ষে এই আবেদন জানানো হয়।
ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এলাকাবাসির এই দাবি মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং তাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন ভূমি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) ও জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান করিম, সিলেট জেলা কৃষক দলের যূগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন বিলাল, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জৈন্তাপুর উপজেলা শাখার সাবেক আমীর নাজমুল ইসলাম, আসাদ আহমদ, শাহ আব্দুল বারী, চারিকাটা ইউনিয়নের প্রবীণ মুরব্বি জহিরুল ইসলাম,তাজুল ইসলাম, মাস্টার মখলিছুর রহমান, উমর আলী, সামছুল হক ও আজমল হোসেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চারিকাটা ইউনিয়নের ৫ টি মৌজার অন্তত ২ হাজার ৩ শত পরিবারের ভোগ-দখলীয় জায়গার অন্তভূক্ত ভূমিতে ‘দি মেঘালয় টি এস্টেট এন্ড খোদেজা বহুমুখী ফার্ম লি কোম্পানী’ চা-বাগানের নামে ভূমির ইজারা বাতিল করে ভূমিহীনদের বসতবাড়ি রক্ষা ও স্থানীয়দের মধ্যে স্থায়ীভাবে জায়গার বন্দোবস্তের অনুরোধ করা হয়।
চারিকাটা ইউনিয়নের হতদরিদ্র ভূমিহীন বাসিন্দাগণ অত্র ইউনিয়নের ভিত্রিখেল পূর্ব, ভিত্রিখেল পশ্চিম, ভিত্রিখেল উত্তর, নয়াখেল উত্তর, নয়াখেল দক্ষিন এই পাঁচ’টি মৌজার বেশ কিছু সরকারি খাস খতিয়ানের ভূমি এবং অনেকেই তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে বসতবাড়ী নির্মাণ করে বংশানুক্রমে বসবাস করে আসছেন।
পাঁচটি মৌজায় অন্তত ২ হাজার ৩শত পরিবারের অন্তত ১৫ হাজার লোক বসবাস করেন। বিগত ২০০৮ সাল থেকে এলাকাবাসি ‘দি মেঘালয় টি এস্টেট এন্ড খোদেজা বহুমুখী ফার্ম লি’ কোম্পানীর নামে ভূমি বন্দোবস্তের প্রক্রিয়া বাতিল করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একজন মন্ত্রীর আত্মীয় রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে ‘দি মেঘালয় টি এস্টেট এন্ড খোদেজা বহুমুখী ফার্ম লি’ চা-বাগানের নামে ভূমির লীজ নিয়েছিলেন।
‘দি মেঘালয় টি এস্টেট এন্ড খোদেজা বহুমুখী ফার্ম লি’ নামীয় চা-বাগানের ভূমির ইজারা বাতিল করে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক এখানে বসবাসরত ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে স্থায়ীভাবে বন্দোবস্ত প্রদান করার দাবি জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর