রাত জেগে চলছে নিজ বাড়ি পাহারা, বেড়েছে পুলিশী নজরদারি, আটক ২, তদন্তে ধীরগতি
একি পরিবারে পরপর দুটি মটরসাইকেল চুরি

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>রাত জেগে চলছে নিজ বাড়ি পাহারা, বেড়েছে পুলিশী নজরদারি, আটক ২, তদন্তে ধীরগতি</span> <br/> একি পরিবারে পরপর দুটি মটরসাইকেল চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে সম্প্রতি প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এরমধ্যে শুধু দক্ষিণ সুরমা থেকে চুরি হয়েছে ১৭টি। এসব মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় আইনশৃংখলা বাহিনী চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেফতার করে। চুরি যাওয়া বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ও উদ্ধার করে। এবার একই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে চোর চক্রের তথ্য। লম্বা তালিকা হাতে নিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে পুলিশের।
আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মঙ্গলবার চোর চক্রের সদস্যকে রিমান্ডে নেয়ার পর ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিলেও আদালতে হাজির হয়ে সে ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করতে রাজি হয়নি। ফলে পুলিশ ফের রিমান্ড প্রার্থনা করবে আদালতে।
গ্রেফতার চোর চক্রের নেতা রাজু আহমদ রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, মোটরসাইকেল চুরির সাথে বিশাল সিন্ডিকেট জড়িত। চোরদের আন্তজেলা শক্ত নেটওয়ার্ক ও রয়েছে। এই নেটওয়ার্কে সিলেট বিভাগের শতাধিক চোর জড়িত। তবে এরমধ্যে সবাই পরিচিত না হলেও অনেকেই জড়িত। কোনভাবেই বন্ধ হচ্ছে না মটরসাইকেল চুরি গেল চলতি মাসের ২ জুন নগরীর ওসমানী মেডিকেল এলাকা থেকে মিলন কুমার সিংহ( ৪০)নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল চুরি হয়ে যায়। সকাল৮,৩০ মিনিটে সাইকেলটি রেখে দুপুরে একটার মধ্যে হাসপাতাল থেকে নেমে ষরাড় মটরসাইকেলটি আর পাওয়া যায় নাই।
মটরসাইকেল ষরাড় চুরির ঘটনায় তিনি সিলেটের কোতোয়ালি থানায়একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এর সত্যতা স্বীকার করে তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) দেবাশীষ দেব জানান, মটরসাইকেলটি যে স্থানের রাখা ছিল সিসি ক্যামেরা নেই । তারপরও আমরা মটরসাইকেল উদ্ধারে মাঠে কাজ করছি আন্তরিকভাবে। চৌকস টিম এটি উদ্ধারে অনুসন্ধান চালাচ্ছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না থাক কাজ করতে একটু কষ্ট হচ্ছে। মিলন কুমার সিংহ কমলগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি উসমানী মেডিকেলে সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন।
সিলেটে সম্প্রতি প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল চুরি গেছে। এরমধ্যে শুধু দক্ষিণ সুরমা থেকে চুরি গেছে ১৭ টি। এসব মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় আইনশৃংখলা বাহিনী চোর সিন্ডিকেটের ডজন খানেক সদস্যকে গ্রেফতার করে। চুরি যাওয়া বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ও উদ্ধার করে। এবার একই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে এসেছে চোর চক্রের তথ্য। লম্বা তালিকা হাতে নিয়ে তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে পুলিশের।
আদালত ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মঙ্গলবার চোর চক্রের এক সদস্যকে রিমান্ডে নেয়ার পর ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিলেও আদালতে হাজির হয়ে ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করতে রাজি হয়নি। ফলে পুলিশ ফের রিমান্ড প্রার্থনা করবে আদালতে। গ্রেফতার চোর চক্রের নেতা রাজু আহমদ রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, মোটরসাইকেল চুরির সাথে বিশাল সিন্ডিকেট জড়িত। চোরদের আন্তজেলা শক্ত নেটওয়ার্ক ও রয়েছে। এই নেটওয়ার্কে সিলেট বিভাগের শতাধিক চোর জড়িত। তবে এরমধ্যে সবাই পরিচিত না হলেও অনেকেই জড়িত।
আড়াই মাসের মধ্যে একই পরিবারের পর পর দু’টি মটরসাইকেল চুরি হয়েছে। দু’টি চুরির ঘটনায়-ই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এসব ঘটনা অভিযোগ নিলেও মামা রেকর্ডে কালক্ষেপণ করছে পুলিশ। এদিকে একই পরিবারের দুটি মোটরসাইকেল পরপর আড়াই মাসের মাথায় চুরি হওয়ায় নানা রকম আতঙ্কে
নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ওই পরিবার। এসব বিষয় নিশ্চিত করেন সিলেট মহানগরীর ২৯নং ওয়ার্ডের লালবাগ আবাসিক এলাকা প্রকাশ ধোপাঘাটের বাসিন্দা আজম আলীর ছেলে মোঃ ইবরাহিম রহমান মাহিন (২৩)।
তবে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, একই পরিবারের পর পর দুটি মটরসাইকেল চুরি হওয়ার পর ওই বাড়ির দিকে রাত্রিকালীন টহল জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ নজরদারিদের রাখা হচ্ছে বাড়িটি।মটরসাইকেল চোরদের বিষয়ে পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার চৌকস কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করছে। ইতিপূর্বে এসআই আমির হোসেনও এসআই সহিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে চৌকস পুলিশ টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য গোলাপগঞ্জ এলাকার নজম উদ্দিন (২৫) ও রাজু আহমদ (২২) কে আটক করা হয়েছে।
মটরসাইকেল চোর রাজুকে আদালতের নির্দেশক্রমে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩জুন কোর্টের হাজির করা হয়েছে।তার কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে চোর চক্রের। সে ।তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত আছে। চুরি হওয়া মটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রকে গ্রেফতারের পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, মাহিন এর মালিকানাধীন কালো রঙের মটরসাইকেলটি (রেজিস্ট্রেশন নং-সিলেট মেট্রো-ল-১২-২৭৯১, চেসিস নং-চঝ৬৩৭অঊ৭১ঘ৬ঐ৮১৬৫৬, ইঞ্জিন নং-ঈঊ৭ইঘ২৪০০৪৩৪) মোটরসাইকেলটি (রেজিস্ট্রেশন নং-সিলেট মেট্রো-ল-১২-২৭৯১, চেসিস নং-চঝ৬৩৭অঊ৭১ঘ৬ঐ৮১৬৫৬, ইঞ্জিন নং-ঈঊ৭ইঘ২৪০০৪৩৪) গত
গত ৩০ মে শুক্রবার রাত ১১টায় প্রতিদিনের মতো যথাযথ প্রক্রিয়ায় সাবধানতা অবলম্বন করে ফ্ল্যাক্সিবল গেইটের ভিতরে রেখে ঘুমোতে যান। পরদিন ৩১ মে শনিবার সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে গাড়িটি যথাস্থানে পাননি। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাত অনুমান ৩টার দিকে অন্ধকার অবস্থায় ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা চোর গেইটের তালা এবং মোটরসাইকেলের প্রত্যেকটি তালা ভেঙ্গে এটি চুরি করে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজসহ শনিবার (৩১ মে) তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগকারী জানান, কর্তব্যরত কর্মকর্তা অভিযোগের কপি গ্রহণ করলে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড বা তাদের রিসিভ কপি সরবরাহ করে নি। আবার ঘটনার কোন হদিসও বের করতে পারছ যথাস্থানে পাননি। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাত অনুমান ৩টার দিকে অন্ধকার অবস্থায় ৩/৪ জন অজ্ঞাতনামা চোর গেইটের তালা এবং মটরসাইকেলের প্রত্যেকটি তালা ভেঙ্গে এটি চুরি করে নিয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজসহ শনিবার তিনি দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। পুলিশ অভিযোগপত্র গ্রহণ করলে ও অনুলিপিতে কোন প্রিসিভ সিল ব্যবহার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এর পূর্বে একইভাবে গত ২৩ মার্চ সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে বাড়ির গেইটের বাইরে সতর্কতার সাথে মোঃ ইবরাহিম রহমান মাহিনের পিতা আজম আলীর (৬৬) মোটরসাইকেলটি চুরি হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর মোটরসাইকেলটি না পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় এসে তিনি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনুরূপ একটি অভিযোগ করেন। কিন্তু আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ অদ্যাবধি এর কোন হদিস বের করতে পারেনি।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ ফুলর উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, মটরসাইকেল চুরির বিষয়টি আমরা আইন-শৃঙ্খলার সভায় উপস্থাপন করেছি। গেল কিছুদিনে দক্ষিণ সুরমা ও মোগলা বাজারে ১৭ টি মটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। যেটি দুঃখজনক। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে জিপিএস টেকার লাগানোর কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন হল প্রশাসনের দায়িত্ব এখানেই কি শেষ?
এদিকেসিলেট মহানগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে চুরি,ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র মেতে উঠেছে এসব কাজে। তবে মটরসাইকেল চুরির বিষয়টি ভিন্ন । মটরসাইকেল চুরির রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট যার নেটওয়ার্ক বিস্তীর্ণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া হবিগঞ্জ থেকে শুরু করে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় । এসব এলাকার বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বা মামলার পলাতক আসামিরা সিলেট নগরীর বা আশপাশের বিভিন্ন কলোনির ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান করে ডাকাত সোর্স বা নিরব স্থানে ছিনতাই এবং ছদ্মবেশে বিভিন্ন অজুহাতে বাসা বাড়িতে গিয়ে দামি গাড়ি মোটরসাইকেল চুরির উদ্দেশ্যে রাত্রিকালীন সময়ে বাসা বাড়িতে ঢোকার কলাকৌশল অবলম্বন করে। মটরসাইকেল চোরদের পাকড়াও করতে পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতা রয়েছে কিন্তু কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এই চক্রকে। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার এক চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা এস আই দীপরাজ ধর প্রিন্স এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আন্ত বিভাগ মটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় ৬ সদস্যকে গ্রেফতার পূর্বক ৩ টি চোরাই মটরসাইকেল উদ্ধার করতে সক্ষম হন। পুলিশ জানায়,১৫ মে ২০২৫ তারিখে সকাল ৮ঃ৩৫ মিনিটে সোবহানীঘাটস্থ বাসা নং-৮২, রোড নং-০৩, লতিফিয়া টাওয়ারের নিচ হতে পোল্যান্ড প্রবাসী জনৈক নাজমুল ইসলাম এর ব্যবহৃত ০১টি,ইয়ামাহা ৩. মটরসাইকলটি অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার নং -৪৬। ২৭ মে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানাধীন চান্দুরা শ্যামলীঘাটস্থ পাসওয়ার্ড নামীয় দোকানের সামনে হতে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্যদের আটক করা হয়। তারা হলো ১। মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৯) পিতা- মোঃ আরিফুল ইসলাম, সর্বসাং-চান্দুরা, থানা- বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়িয়া, ২। আবুল কালাম (৩২) পিতা- সামছুজ্জামান, সর্বসাং-চান্দুরা, থানা- বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়িয়া, ৩। প্রনয়ন দাস (২৬) পিতা- মৃত পরেশ দাস, সর্বসাং-চান্দুরা, থানা- বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়িয়া, ৪। সাইফুজ্জামান (৩২) পিতা- বদিউজ্জামান, সর্বসাং-চান্দুরা, থানা- বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়িয়া, ৫। মোঃ রেজাউল করিম (২৯) পিতা- মৃত আবুল বাহার, সর্বসাং-চান্দুরা, থানা- বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়িয়া, ৬। লোটন চৌধুরী (৩৩) পিতা- প্রাণ কমল চৌধুরী, সর্বসাং-চান্দুরা, থানা- বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়িয়া। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা হতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া জানান, ঈদুল আজহা কে নিরাপদ রাখতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সজাগ নজরদারি রয়েছে। মোটরসাইকেল চোরদের পাকড়াও করতে মাঠে কাজ করছে এস এমপির চৌকস টিম।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর