আসামি ১০ হাজার
এসআই সন্তোষ নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার চায় বৈছাআ

প্রকাশিত: ৬:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>আসামি ১০ হাজার</span> <br/> এসআই সন্তোষ নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার চায় বৈছাআ

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জে চব্বিশের ৫ আগস্ট এসআই সন্তোষ নিহতের ঘটনায় ১০ হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলাটি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
রোববার হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মাহদী হাসান স্বাক্ষরিত এ স্মারকলিপিটি সংগঠনের আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আবদুল্যাহ আল জাবেদের কাছে প্রদান করেন।
মাহদী হাসান বলেন, আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আন্দোলনটি ছিল দেশের আপামর জনতার। এ আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বানিয়াচংয়ে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের এসআই সন্তোষ বিনা উস্কানিতে গুলি চালিয়ে ৯ ছাত্র-জনতাকে শহীদ করেছিলেন। তখন হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানলে পড়েন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি পরবর্তীতে ঐতিহাসিক এ ক্ষোভকে হত্যাকাণ্ড বলে ১০ হাজার অজ্ঞাত ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে পুলিশের তরফ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক ও বানোয়াট মামলা বলে আমরা মনে করছি। এছাড়া মামলাটি ইতিহাস বিকৃতি ও জনগণের প্রতিবাদ দমনের অপচেষ্টা। তাই অবিলম্বে মামলাটি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহারের জন্য আমরা দাবি জানাই।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এসআই সন্তোষের গুলিতে নিরীহ মানুষ নিহত ও শতাধিক আহত হলে উত্তাল হয়ে উঠে বানিয়াচং। সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তবে সেই প্রতিরোধকে ‘হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে তুলে ধরে পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ‘অজ্ঞাত’ ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়; যা ইতিহাস বিকৃতি ও নিপীড়নের অপচেষ্টা। এসআই হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলা স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার, নিহত ও আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও পুনর্বাসন, ন্যায্য প্রতিবাদকে সন্ত্রাস বা হত্যাকাণ্ড বলার সরকারি অপপ্রয়াসের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ঈদগাহের সামনে পৌঁছলে তৎকালীন এসআই সন্তোষ গুলি ছুড়তে থাকেন। এ সময় উপর্যুপরি গুলিতে ৯ ছাত্র-জনতা শহীদ হন। তখন হাজার হাজার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এ সময় মারা যান এসআই সন্তোষ। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শেষপর্যন্ত রাতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর