সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
বাড়িঘর দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন</span> <br/> বাড়িঘর দখলের চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক
খাদিমপাড়ার বহর আল বারাকা আবাসিক এলাকায় একটি পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নারী রাজনা মামুন চৌধুরী অভিযোগ করেন, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক ফখর উদ্দিন পংকির ছেলে যুবদলের সমাজবিষয়ক সম্পাদক বাবর উদ্দিন বাবলা ও তার সহযোগীরা তার বাড়িঘর দখলের পায়তারা করছে। তাদের কারণে জান মাল নিয়ে তিনি আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাজনা মামুন চৌধুরী জানান, বারাকা আবাসিক এলাকায় দীর্ঘ দিন থেকে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে বসবাস করছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে প্রবাসে থাকে। গত ১৪ জুন যুবদলের সমাজবিষয়ক সম্পাদক বাবর উদ্দিন বাবলার নেতৃত্বে ডালিম, রাজু, রানা, জাকির, করিম হাজারী, ছুরুক বাবলু, জমসেদ ময়নুল, রহিম ও সাথি উরফে সুন্দরী এবং শিরি বেগম মিলে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার ভাড়াটিয়াদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা রুমের ভেতর ঢুকে লুটপাট করে। চিৎকার শুনে তিনি এগিয়ে গেলে তার ওপরও হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে বিবস্ত্র করে মাটিতে ফেলে মারধর করে ও গলায় থাকা সোনার চেইন, কানের দোল এবং হাতের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তার চিৎকার শুনে পাশের বাসার ফাতেমা বেগম এসে তাকে উদ্ধার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ৯৯৯ নম্বারে কল দিলে পুলিশ এসে তাকে প্রথমে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। এর কয়েক দিন পর ডালিম, রাজু, করিম হাজারী, জাকির ও সাথি উরফে সুন্দরী মিলে তার ঘরে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে তার স্বামী আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি বাইরের পরিস্থিতি আঁচ করতে বাসার গেইট খোলা মাত্র আসামিরা ঘরে ঢুকে তার অসুস্থ স্বামীকে মারধর করে। এ সময় তারা আলমিরায় থাকা নগদ ২৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর তার স্বামীকে ইবনে সিনা হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ৪ দিন রাখেন। আসামিরা তার স্বামীকে প্রাণে মারার হুমকি দিলে তাদের ভয়ে লুকিয়ে শামছুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন। যার প্রেক্ষিতে গত ৭ জুলাই শাহপরাণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রাজনা মামুন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, শাহপরাণ থানার ওসি এ ঘটনা নিজে তদন্ত করলেও তার প্রতিপক্ষের সহযোগী সাবেক সেনা সদস্য জুবায়ের আহমদের সাথে ওসি মনির উদ্দিনের ভাল সম্পর্ক থাকায় এই মামলাটি এফআইআর হয়নি। ইতোমধ্যে আসামিরা তার ভাড়াটিয়াদের পানির লাইন কেটে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসিকে ফোন দিলেও কোন সদুত্তর দিচ্ছেন না। বরং আসামি বাবলা ও রাজু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছে তাকে উদ্ধারকারী ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী মামুনকে এলাকা ছাড়তে হবে। অন্যথায় তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। অসুস্থ স্বামীসহ জানমাল রক্ষায় তিনি প্রশাসনের উর্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর