বিশ্বনাথ কামিল মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলন
অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুফতি নাজিম

প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৩, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>বিশ্বনাথ কামিল মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলন</span> <br/> অপপ্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুফতি নাজিম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুফতি নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও তথ্য বিভ্রান্তিমূলক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের নিন্দা জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে স্থানীয় মুরব্বীদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ জানান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুফতি নাজিম উদ্দিন।
এসময় বিশ্বনাথ উপজেলায় স্থানীয়ভাবে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলেনে অধ্যক্ষ মুফতি নাজিম উদ্দিন বলেন, “১২ আগস্ট ‘রূপালী বাংলাদেশ’ নামে একটি দৈনিকের সংবাদে ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ রক্ষায় জাল স্বাক্ষর’ শিরোনামে আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি সকল প্রকার বৈধ নিয়মে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি। একটি স্বার্থন্বেষী মহল ও সাবেক অধ্যক্ষের প্ররোচনায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বিগত ৫ আগস্ট পর ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ নুমান আহমদ রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে আমার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে চলে যান। বিগত ২৭ আগস্ট’ ২৪ মাদ্রাসার প্যাডে তিনির স্বাক্ষর সিলসহ জৈষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে আমার উপর দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। আরেকটি প্যাডে ১৭জন বিশিষ্ট গণ্যমান্য নাগরিকের উপস্থিতিতে উক্ত বিষয়ের রেজ্যুলেশন রয়েছে। এর পর থেকে আমি দায়িত্ব পালন করছি। মাদ্রাসা গর্ভনিং বডির সভাপতি মাওলানা শফিকুর রহমান-সহ এই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। তৎসময়ে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায়কে অবহিত করলে তিনি আগের গর্ভনিং কমিটি বহাল আছে জানান। ইউএনও জানান- আপনারা মিটিং করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এর উপর ভিত্তি করে ১৭ সেপ্টেম্বর’২৪ সভা করে রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। উক্ত রেজ্যুলেশনে সাবেক সভাপতি, ০৩ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর আছে। এমন কি গতকাল অর্থাৎ ১২ আগস্ট আমার কার্যালয়ে এসেও স্বাক্ষরকারীরা তাদের নিজ নিজ বৈধ স্বাক্ষরের কথা স্বীকারোক্তি করেছেন। স্বাক্ষর কেউ জাল বা নকল করেননি। বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ গর্ভনিং বডির কাজ চলমান রয়েছে। গভর্নিং বডি ও মাদ্রাসায় বিভিন্ন কাজ বানচাল করার জন্য একটা কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মিথ্যাচার, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সাবেক মাদ্রাসা অধ্যক্ষ নুমান আহমদের দায়িত্ব হস্তান্তরের এবং কোন কোন কারণে তিনি দায়িত্ব ছেড়েছেন তার নিউজ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে তৎসময় প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি সবার জানা। স্বাক্ষর জাল করা হয় নাই। এসময় তিনি সাবেক অধ্যক্ষের বিভিন্ন দুর্নীতির চিত্র ও কাগজ পত্র দেখিয়ে বলেন- আপনার আসল সত্য তুলে ধরে জাতীকে জানান, যাতে সাধারণ মানুষ যেন বিভ্রান্তিতে না পড়ে। তিনি একটি কাগজে দেখান সাবেক অধ্যক্ষ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রভাষক থেকে অধ্যক্ষ হয়েছেন। ৪ লক্ষ টাকার একটি ভূয়া চা-পান বিলের কেলেঙ্কারী করেছেন। নিজের নিকটাত্মীয়দের ভূয়া দাতা সদস্য তালিকা করণসহ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়াই তিনি অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন।
মাদ্রাসার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন; আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার পরে মাদ্রাসার শিক্ষার মান এগিয়েছে। এবছর এ-প্লাসসহ ৬৭ পার্সেন্ট পাসের হার হয়েছে, যা এর আগে অনেক কম ছিল।
মাদ্রাসার অফিস কক্ষের আজকের সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় বিশিষ্ট মুরব্বি গোলাপ খাঁন, আব্দুল হান্নান, মাওলানা নজরুল ইসলাম, তাজ উদ্দিন, ফয়সল আহমদ, আব্দুল খালিক, ফারুক আহমদ, আমির আলী ও বিশ্বনাথ উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর