সিলেটের সাদাপাথর কাণ্ডে হাইকোর্ট
বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিকে অবস্থান ব্যাখ্যা করার নির্দেশ

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>সিলেটের সাদাপাথর কাণ্ডে হাইকোর্ট</span> <br/> বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিকে অবস্থান ব্যাখ্যা করার নির্দেশ

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
সিলেটের ৭টি পাথর কোয়ারি থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে অদ্যাবধি সিলেটের পাথর কোয়ারিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর উত্তোলন, আহরণ ও অপসারণ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে তাঁদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত ও প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে গৃহীতব্য ব্যবস্থা সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রস্তুত ও আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত একটি জনস্বার্থমূলক মামলার (নং ১৩৪৮৫/২০২৫) প্রাথমিক শুনানী শেষে বিচারপতি কাজী জিনাত হক এবং বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দীকা এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।

মামলায় বেলার পক্ষের আইনজীবী এস . হাসানুল বান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও আদালতে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে অবিলম্বে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে সিলেটের কোয়ারিগুলোকে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করে টেকসই ইকো-ট্যুরিজম হিসেবে গড়ে তোলার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছেন আদালত।

আদালত খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে আগামী তিন মাসের মধ্যে পরিবেশবান্ধব ইকো-ট্যুরিজম বিকাশের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে বলেছেন।

মামলায় বেলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মিনহাজুল হক চৌধুরী ও এস. হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহা. এরশাদুল বারী খন্দকার।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী জানান, মাননীয় আদালত, সিলেটের জাফলং, শাহ আরেফিন টিলা, ভোলাগঞ্জ, উৎমাছড়া, শ্রীপুর, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়া এবং বান্দরবান জেলার ১০টি ঝিরি–ছড়াসহ মোট ১৭টি পাথর কোয়ারি থেকে ধ্বংসাত্মকভাবে পাথর উত্তোলন চলছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ

তিনি বলেন, প্রশাসন এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে শুধু পরিবেশ নয়, জীববৈচিত্র্য, স্থানীয় মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে। এই ব্যর্থতা সংবিধান, বিদ্যমান আইন ও আদালতের পূর্ববর্তী রায়ের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আদালতের কাছে আমাদের প্রার্থনা, এই কোয়ারিগুলোকে অবিলম্বে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ ঘোষণা করে পাথর উত্তোলন বন্ধ এবং পরিবেশবান্ধব টেকসই ইকো-ট্যুরিজম হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশ প্রদান করা হোক।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর