ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট সিটি করপোরেশনের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা হলেও সেদিকে লক্ষ্য নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা নগর ভবনের। এমন সাক্ষ্যই দিচ্ছে বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া মিনি পুকুরের মতো খানাখন্দ ও সংস্কার বিহীন গর্ত। দীর্ঘদিনের অবহেলার কারণে ওয়ার্ডের রাস্তাগুলো প্রায়ই অনুপযোগী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তারা বলেন, সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পরও নাগরিক সব রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৩২ নং ওয়ার্ড। এখানকার রাস্তা ঘাটের যে বেহাল দশা তাতে করে মানুষের চলাচলও প্রায় অনুপযোগী। জরুরি প্রয়োজনে গাড়ির ব্যবহার করতে গেলে রীতিমত বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয়দের। তাই যেকোনো দুর্ঘটনা এড়াতে পায়ে হেঁটেই তাদের যাতায়াত করতে হয়। ফলে তাদের কর্মজীবনে যেমন স্তবিরতা নেমে এসেছে, তেমনি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। দৈনন্দিন কাজে যেখানে ঘর থেকে বের হয়ে মূল সড়কে আসতে সময় লাগার কথা মাত্র ১০ মিনিট। সেখানে পায়ে হাঁটার কারণে আধাঘণ্টারও বেশি সময় লেগে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ২০২২ সালের ২১ জুনের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ইসলামপুর বাজার থেকে পশ্চিম ভাটপাড়া রাস্তার সংস্কার কাজের সূচনা করা হলেও ২০২৩ সালের ০৫ আগস্ট থেকে কাজটি বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসীকে কোনোরূপ সদুত্তর না দিয়েই কাজটি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পশ্চিম ভাটপাড়ার ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এটাই তাদের একমাত্র চলাচলের রাস্তা। সেইসাথে সাধার মানুষের পাশাপাশি এমসি কলেজ, সিলেট সরকারি কলেজ, ইসলামপুর জামেয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, স্কলার্সহোম মেজরটিলা কলেজ, শাহজালাল উচ্চ বিদ্যালয়সহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি প্রাইমারি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। গাড়ি চলাচলে রাস্তাটি সম্পূর্ণ অনুপযোগী হওয়াতে পায়ে হেটে তাদেরকে যাতায়াত করতে হয় বিধায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশিই সময় লাগে। ফলে শিক্ষাজীবনও ব্যাহত হচ্ছে কোমল শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া, কর্দমাযুক্ত পানি গায়ে পড়ে কিংবা পা পিচলে পড়ে গিয়ে পোশাক নোংরা হওয়া ও রোদ বৃষ্টিতে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌছানোটাও তাদের কাছে আরেক বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে অনেকটা স্কুল বিমুখ হওয়ার পথে ওই গ্রামের শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে রজনি গন্ধা টাওয়ার থেকে প্রয় চার ফুট পানি জমে থাকে। এমতাবস্থায় এলাকার জনসাধারন এক মহা সমস্যায় রয়েছেন। রাস্তাটির সংস্কার কাজের সূচনা হলেও অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পাশের ওয়ার্ডের রাস্তা ড্রেনের কাজ চলমান কিন্তু ৩২ নং ওয়ার্ডের রাস্তার কাজ কী কারণে বন্ধ হয়ে গেলো সিটি থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। রাস্তাটি এতো সরু যে- দুইটি টম টমও পাশাপশাি চলার মতো সুযোগ নেই। এতে যানজট প্রায় লেগেই থাকে। তাছাড়া, অনেক সময় শিক্ষার্থীদের গায়ে যানবাহ লেগে জখমের ঘটনাও ঘটে।
এ বিষয়ে এলাকার বিশষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক রতন মনি মোহন্ত বলেন, আমরা নামে মাত্র সিটির অন্তর্ভুক্ত হয়েছি, কাজের সাথে কোনো মিল নেই। রাস্তা ঘাট ও জলাবদ্ধতা এমন হয়েছে- এখন এলাকার মানুষ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মেয়র বিহীন সিটি হলেও অন্য ওয়ার্ডে কাজ চলমান, কিন্তু আমাদের এলাকার কাজ বন্ধ, এটা রীতিমত বৈষম্য। নগর ভবন কেনো আমাদের সাথে এমন অবিচার করছে তা বোধগম্য নয়। তবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে সিটি করপোরেশনের বর্তমান প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host