ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫
হারুন রশিদ, ওসমানীনগর
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির গর্ব বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকী আজ (১ সেপ্টেম্বর) পালিত হচ্ছে, কিন্তু ওসমানীনগরে নেই কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন বা স্মরণ সভা।
১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা এই বীর সেনানায়ক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ১৯৭১ সালের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেন। একই বছরের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনায় গোটা দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হয়।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। তবে ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
এই ওসমানীনগরের গর্বের সন্তানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওসমানীনগরে কোন কার্যক্রম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ওসমানী পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা এবং সচেতন মহল। তারা আক্ষেপ করে বলেন, বঙ্গবীর ওসমানীর নামেই এই উপজেলার নামকরণ হলেও তার স্মৃতিকে যথাযথভাবে সম্মান জানানো হয় না। তার জন্মদিনে কোনো সরকারি বা সামাজিক উদ্যোগ না থাকাটা দুঃখজনক।
তারা আরও বলেন, আগামী প্রজন্ম যেন বঙ্গবীরের অবদান ভুলে না যায়, সেজন্য নিয়মিতভাবে জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রীয় এবং স্থানীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host