লালদিঘি হকার্স মার্কেটের কাজ পরিদর্শনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত: ৯:১৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫

লালদিঘি হকার্স মার্কেটের কাজ পরিদর্শনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট মহানগরীর যানজট নিরসন ও সড়কের ভাসমান হকার সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বন্দরবাজারস্থ লালদিঘি হকার্স মার্কেটের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অন্যান্য কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে লালদিঘি হকার্স মার্কেট পরিদর্শন করেন তারা।
এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, আমরা চাই নগরের সড়কগুলো হকারমুক্ত হবে। ফুটপাত দিয়ে নগরবাসী নির্বিঘ্নে যাতায়াত করবেন। নগরীর ভ্রামমাণ ব্যবসায়ীরা যাতে লালদিঘি হকার্স মার্কেটের জায়গায় বসে ব্যবসা করতে পারেন সে জন্য আমরা এখানে অস্থায়ী অবকাঠামো তৈরি করে দিচ্ছি। নগরবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে অবিলম্বে সবাইকে উদ্যোগী হয়ে হকারদের রাস্তা থেকে সরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, লালদিঘি হকার্স মার্কেটের জায়গা অত্যন্ত মূল্যবান।এই জায়গা নিয়ে ভবিষ্যতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বড় পরিকল্পনা রয়েছে।তাই এখানে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে আইনী কিছু জটিলতাও আছে।তবে এখানে ব্যবসা করার জন্য কাউকে টাকা দিতে হবে না। উন্মুক্ত স্থানে যে কোনো হকারই তার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

 

জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, রাস্তা দখল করে দোকান দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে তাই মহানগরীর রাস্তা-ফুটপাতের ভাসমান হকারদের এখানে আনা হচ্ছে।রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তারা যেন কর্মহীন হয়ে না পড়েন এবং কিছু করে খেতে পারেন, সে লক্ষ্যেই আমরা এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছি। আমরা এই জায়গাটা রেডি করে দিচ্ছি, যাতে হকাররা বসতে পারেন এবং ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দে আসতে পারেন।এজন্য প্রবেশের তিনটি রাস্তা করে দেওয়া হচ্ছে।তাদের কাছ থেকে কোনো ভাড়া বা জামানত নেওয়া হচ্ছে না।হকার-ব্যবসায়ীরা বিনামূল্যে এখানে ব্যবসা করার সুযোগ পাবেন।লালদিঘি হকার্স মার্কেট সকলের জন্য উন্মুক্ত।তাই এখানে কোনো স্থায়ী শেড বা বিল্ডিং করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।হকাররা রাস্তায় যেভাবে ব্যবসা করতেন, এখানেও সেভাবেই করবেন।আমরা এই স্থানটিকে নান্দনিক করে তোলার জন্য কাজ করছি। কেউ যদি হকারদের শেল্টার দিয়ে রাস্তায় বসাতে চান তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সিলেট শহরে আসলে পার্কিং ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কেউ বাড়ি বা বিল্ডিং বানালেও পার্কিংয়ের জায়গা রাখছেন না। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। আমরা এটা নিয়েও কাজ করছি। অবৈধ যানবাহন জব্দ ও জরিমানা করা হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই সিলেটবাসী এর সুফল পাবেন।
এ সময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিয়া সুলতানা, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ একলিম আবদীন, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজি উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর