স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাজনীতি ফাঁকিবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫

স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাজনীতি ফাঁকিবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগ

নাহিম মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ থেকে
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সরিন্দ্রচন্দ্র নাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈলেন চন্দ্র নাথের বিরুদ্ধে গত ১৪ সাল থেকে আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতি ও এর প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষকতায় দুর্নীতি ও ফাঁকিবাজির অভিযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে যে সৈলেন চন্দ্র নাথ ২০১৩ সালের জাতীয়করণের মাধ্যমে সরকারি শিক্ষক হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুবলীগের রাজনীতিতে ২০১৪ ও ২০১৭ সালের উপজেলার আহবায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক ও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সরাসরি রাজনীতি করে আসছেন, অথচ সরকারি চাকুরী বিধির ১৯৭৯ সালের ধারা ২৫ এর ১ অনুযায়ী কোন সরকারি চাকরিজীবি সরাসরি রাজনীতি বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেননা। কিন্তু তিনি অবলীলায় রাজনীতির সকল কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে আসছেন মর্মে তার ফেসবুক একাউন্টে অসংখ্য পোস্ট ও ছবি আছে। এমনকি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে স্কুলের পাঠদান কার্যক্রমে ফাঁকিবাজি ও স্লিপ বরাদ্দের টাকা সঠিকভাবে খরচ না করে তছরুপ করতেছেন। তিনি স্কুল না করে অফিসের কথা বলে প্রায়ই উপজেলা শিক্ষা অফিসে যাতায়াত করেন এবং শিক্ষা অফিসারকে তার মোটরসাইকেল দিয়ে বিভিন্ন স্কুল ভিজিটে নিয়ে যান। এছাড়া তিনি স্কুল ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় শান্তির বাজারে তার দোকানে হরহামেশা দোকানদারি করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিরতির সময় কে কোথায় যায় তা আমার দেখার বিষয় নয়, বিরতির আধা ঘণ্টায় কি দোকানদারি করা যায়? এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ীও বলেন তিনি প্রায়ই স্কুল টাইমে দোকান খুলেন এবং ব্যবসা করেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রধান শিক্ষকের কাছে সৈলেন চন্দ্র নাথ স্কুলে আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সৈলেন চন্দ্র নাথ স্কুলের জায়গা নামজারি করার জন্য গত ২ দিন ধরে সিলেট আছেন। ছুটি নিয়ে গিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। অথচ উক্ত ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ১.০০ ঘটিাকা পর্যন্ত তিনি সিলেট শহরের মদিনা মার্কেট এলাকার মামুন ডিসকাউন্ট সপে অভিযোগকারীর সাথে বিষয়টি মিটমাট করার জন্য বসেছিলেন বলে অভিযোগকারী জানান।
এছাড়া তিনি ফৌজদারি অপরাধের নারী নির্যাতনসহ বিভিন্ন মামলার আসামীও। নিয়মঅনুযায়ী এসব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার সাময়িক বরখাস্ত থাকার কথা।
এসব বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয় কে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর