ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২৫
তৌফিকুর রহমান তাহের, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় অবিশ্বাস্য ঝাল ছড়াচ্ছে কাঁচা মরিচের দাম। নামমাত্র অজুহাতে অতিরিক্ত দাম বাড়ানোর কারণে রীতিমত নাকাল হচ্ছেন ক্রেতা সাধারণ। তারা বলছেন, অন্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে অবিশ্বাস্য দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। তারা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের বিপরীতে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দাবি করছেন। যা ক্রেতাদের মধ্যে ভোগান্তির সৃষ্টি করছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সুনামগঞ্জের দিরাই-শাল্লা বাজার ও স্থানীয় শ্যামারচর বাজারসহ বিকালে বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে কেজিতে ৪০০ টাকা বেড়ে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টি ও আমদানি বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তবে দুই একদিনের মধ্যে দাম কিছুটা কমে আসবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক দোকানি কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন না। যারা বিক্রি করছেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় কম পরিমাণে পাইকারি বাজার থেকে কাঁচা মরিচ সংগ্রহ করেছেন।
শ্যামারচর বাজারের কাঁচামাল ব্যাবসায়ী মো. প্রদীপ মিয়া বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে মালামাল পাচ্ছি না। যার ফলে উপজেলার বাজারগুলোতে প্রকারভেদে ৩৮০ থেকে ৪০০-৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের পাল্লা ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা। এরপর যাতায়াত খরচ তো রয়েছেই। প্রতিদিন এক থেকে দুই পাল্লা মরিচ আনলেও আজ ১ কেজি মরিচ এনেছি। দুই একদিনের মধ্যে দাম না কমলে মরিচ বিক্রি বন্ধ করে দেবেন বলেও তিনি জানান।
৪ দিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম প্রায় তিনশো টাকা বেড়েছে বলে জানালেন স্হানীয় বাজারের অনেক পাইকারি বাজারের তরকারি বিক্রেতা। অনেকেই বলেন,৪দিন আগেও ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি। গতকাল ৪০০-৫০০ টাকা বিক্রি করলেও আজ পাইকারি বাজারেই কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি করে লাভ করা কষ্টকর হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
এদিকে হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যেও ক্ষোভ দেখা গেছে।একজন শিক্ষক বলেন গত ৪ /৫ দিন আগে ২৫০ টাকা কিনেছি আজ বলছে ৫০০ টাকা কেজি।এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। এজন্য বাজারে সরকারের মনিটরিং জোরদার করা প্রয়োজন বলেও তারা উল্লেখ করেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৬দিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শনিবার ৪অক্টোবর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host