দিরাই-শাল্লা অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ সংগ্রামী : ব্যারিস্টার মাহাদানী চৌধুরী

প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৫

দিরাই-শাল্লা অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ সংগ্রামী : ব্যারিস্টার মাহাদানী চৌধুরী

বিশেষ প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে সম্ভাব্য সংসদ পদপ্রার্থী ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী বলেছেন, এই মাটি, এই হাওর, এই পথঘাট শুধু আমার জন্মভূমিই নয়, আমার পরিচয়, আমার শিকড়। আমি আজ আপনাদের সামনে রাজনীতিবিদ হয়ে নয়, আপনাদের সন্তান হয়েই কথা বলছি।
তিনি বলেন, ‘দিরাই-শাল্লার মানুষ মানেই সংগ্রামের মানুষ। যখন হাওরের বুক জুড়ে সোনা ফলানো ধান একদিনের জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায়, তখনো কৃষক মাথা নত করে না। যখন তরুণেরা কাজের অভাবে দূরদেশে পাড়ি জমায়, তখনো তারা আশা ছাড়ে না। যখন চিকিৎসার অভাবে কোনো মা তাঁর সন্তানের চোখের পানি মুছতে পারে না, তখনো তিনি আল্লাহর উপর ভরসা করে বেঁচে থাকেন। এ অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ সংগ্রামী, এ অঞ্চলের প্রতিটি হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে হাজারো বেদনার গল্প।’
মাহদীন বলেন, ‘আমি এসব গল্প খুব কাছ থেকে দেখেছি। আর দেখেছি আমার বাবা বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী-কে, যিনি শুধু একজন বিচারপতি নন, তিনি আজীবন বিএনপির একজন নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক। তিনি ১৯৯৬ সালে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য ছিলেন, যিনি দিরাই-শাল্লার মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন, যিনি এই এলাকার প্রতিটি দুঃখ-কষ্ট নিজের কাঁধে বইতে চেয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘আমার বাবা কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি, কখনো ভয়কে বরণ করেননি। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানেই মানুষের জন্য লড়াই, রাজনীতি মানেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। আজ আমি তাঁর সন্তান হিসেবে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কেবল একটি অনুরোধ জানাই—আপনারা তাঁর পাশে থাকুন। আপনারা তাঁকে সমর্থন করুন, ভালোবাসা দিন, শক্তি দিন। কারণ দিরাই-শাল্লার পরিবর্তন একা সম্ভব নয়, তা সম্ভব কেবল আপনাদের সম্মিলিত শক্তিতে।’
তিনি আরও বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি এমন এক দিরাই-শাল্লার, যেখানে কোনো তরুণকে জীবিকার জন্য ভিনদেশে যেতে হবে না, যেখানে প্রতিটি মায়ের মুখে থাকবে সন্তানের সুস্থতার নিশ্চয়তা, যেখানে কৃষকের ঘামে ভেজা ফসলের ন্যায্য দাম তার হাতে পৌঁছাবে, যেখানে আমাদের সন্তানরা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হবে।
আমরা যদি একসাথে হই, তবে দিরাই-শাল্লাকে আর পিছিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের এই মাটি হবে ন্যায়, উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির দৃষ্টান্ত।
আসুন, আমরা সবাই মিলে নতুন সূচনার পথে হাঁটি। আসুন, দিরাই-শাল্লাকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাই, যেখানে থাকবে আশার আলো, থাকবে ভালোবাসা, থাকবে সত্য ও ন্যায়ের জয়। আমি একজন সন্তান হিসেবে আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থন প্রার্থনা করছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর