ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৫
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
কর্মীর দেওয়া ১০ লাখ টাকার চেক ফিরিয়ে দিয়েছেন সুনামগঞ্জের বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান কামরুল। নির্বাচনে খরচ করার জন্য এ টাকা দিয়েছিলেন নূর কাসেম (৩৭) নামে এক বিএনপি কর্মী।
রোববার (২৬ অক্টোবর) বিকালে তাহিরপুরের একতা বাজারে আয়োজিত বিএনপির এক কর্মী সমাবেশে সেই ১০ লাখ টাকার চেক ফিরিয়ে দেন তিনি।
শনিবার জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় এক নির্বাচনি সমাবেশে কামরুজ্জামান কামরুলকে ১০ লাখ টাকার চেক দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন নূর কাসেম।
জানা যায়, বিএনপির ৩১ দফার প্রচার ও ধানের শীষের পক্ষে শনিবার বিকালে জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনাবাজারে এক নির্বাচনি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, মধ্যনগর, ধর্মপাশা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল।
সমাবেশ চলাকালে একপর্যায়ে কর্মীরা তাকে ফুল ও টাকার মালা গলায় দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তখন নূর কাশেম মঞ্চে উঠে কামরুজ্জামানের হাতে নির্বাচনের খরচের জন্য একটি চেক তুলে দেন। পরে তিনি চেকটি সমাবেশে উপস্থিত দলের নেতাকর্মীদের দেখান। এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
বিএনপি কর্মী নূর কাসেমের বাড়ি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের টাঙ্গুয়ার হাওড়পাড়ের মান্দিয়াতা গ্রামে। তিনি পেশায় একজন কৃষক। তিনি বিএনপিতে তেমন সক্রিয় না হলেও তার বাবা মৃত মো. সামসুদ্দিন বিএনপির রাজনীতি করতেন।
১০ লাখ টাকার চেক দেওয়ার বিষয়ে নূর কাসেম বলেন, কামরুজ্জামান কামরুল ভাইকে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে চেকটি দিয়েছি। কামরুজ্জামানকে মন থেকে ভালোবাসি। ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে আমি তাকে চেকটি দিয়েছিলাম; কিন্তু তিনি সেই চেক আমাকে ফেরত দিয়ে দিয়েছেন। তিনি শুধু একটা কথাই বলেছেন, আমার ভালোবাসা তিনি নিয়েছেন আর চেকটা ফেরত দিয়েছেন।
কামরুজ্জামান বলেন, জামালগঞ্জের হাজার হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। কেউ ফুল, কেউ টাকার মালা দিয়েছেন। কেউ দশ, কেউ একশ, কেউ পাঁচশ টাকার নোটের মালা দিয়েছেন। তেমনি এক কর্মী মঞ্চে এসে আমাকে ১০ লাখ টাকার একটি চেক দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এটা দলের প্রতি, আমার প্রতি তার ভালোবাসা। আমি তার ভালোবাসা গ্রহণ করেছি। আর চেকটা ফেরত দিয়েছি।
কামরুল বলেন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের মানুষ আমাকে এতটা ভালোবাসে সেটা নির্বাচনি মনোনয়ন প্রত্যাশী না হলে বুঝতে পারতাম না।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host