নির্মাণের এক বছর পরও মাটি পড়েনি দুই পাশে, জনভোগান্তি চরমে
বাধ্য হয়েই মই বেয়ে উঠতে হয় কোম্পানীগঞ্জের যে কালভার্টে

প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>নির্মাণের এক বছর পরও মাটি পড়েনি দুই পাশে, জনভোগান্তি চরমে</span> <br/> বাধ্য হয়েই মই বেয়ে উঠতে হয় কোম্পানীগঞ্জের যে কালভার্টে

নিজাম উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ
কোম্পানীগঞ্জে ১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাঘারপাড় (হাতিমখাল) মরহুম মজমিল আলীর বাড়ির সন্নিকটে কালভার্ট নির্মাণ করা হলেও যাতায়াত করতে হয় মই বেয়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা মিলে কালভার্ট তৈরি হলেও দু’পাশে মাটি ভরাট না করায় যাতায়াতে এলাকার মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। বাজার থেকে বাঁশের তৈরি মই কিনে এনে এলাকাবাসীকে কালভার্টের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ কালভার্ট তৈরির কাজ প্রায় বছরখানেক আগে শেষ হলেও দীর্ঘদিন ধরে দু’পাশে মাটি ভরাট না করে ফেলে রাখা হয়। ফলে চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে কালভার্ট তৈরি করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার মানুষ।
জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সেতু/ কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১নং পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের পূর্বে বাঘারপাড় ও পশ্চিমে ঢোলাখাল পাকা রাস্তা হতে মরহুম মজমিল আলীর বাড়ির অভিমুখে রাস্তার ওপর ওই কালভার্টটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, মো. কালা মিয়া ও জুয়েল আহমেদ ঠিকাদার হিসেবে কাজ পান, তারা কালভার্ট তৈরির কাজ শেষ করে পাশে মাটি ভরাট না করে ফেলে রাখেন।
বাঘারপাড় গ্রামের আলী হোসেন (৪০) বলেন, ‘কালভার্টের পাশে মাটি না দেওয়ার কারণে তারা মই তৈরি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্তমানে মই বেয়ে কালভার্টের ওপর উঠা-নামা করা করায় পড়তে হয়েছে বিপাকে।
একই এলাকার ফয়জুল হক (৬০) বলেন, কালভার্টের সাইডে মাটি ভরাট না থাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় ২দিন আগে রাতে এক মোটরসাইকেল আরোহী বাঁশের মইয়ে আটকে নিচে পড়ে আহত হন।
৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কবির আহমদ বলেন, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের যাতায়াত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে’এই রাস্তা দিয়েই তাদের প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয়। কালভার্টের পাশ দিয়ে বিকল্প রাস্তা না করায় যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে।’ বাচ্চাদের নিয়ে মই বেয়ে কালভার্টের ওপর উঠা-নামা করতে ভয় লাগে।
ঠিকাদার জুয়েল আহমেদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কালভার্টটির পাশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হবে, পানি থাকায় মাটি ফেলতে অসুবিধা হচ্ছে তবে মাসখানেক লাগবে কাজ করতে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম শাওন ভুঁইয়া বলেন, ঠিকাদার কে কালভার্টের দু’পাশে মাটি ভরাট করার জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত মাটি ভরাট করে এলাকার মানুষের যাতায়াত ভোগান্তি লাগব করা হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর