ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২৫
লুৎফুর রহমান শাওন, ছাতক
মানুষের সামান্য সহযোগিতা কখনো কখনো একটি জীবন বাঁচিয়ে দিতে পারে। সেই আশাতেই হাত বাড়িয়েছেন মা-হারা ১৭ বছরের কিশোরী মুন্নীর অসহায় বাবা আব্দুন নূর। খাদ্যনালির জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে তার মেধাবী মেয়েটি। বর্তমানে সে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৫নং ওয়ার্ডের ৭নং বেডে মুমূর্ষ অবস্থায় ভর্তি রয়েছে।
মুন্নীর মা নেই বহু বছর আগে। তিন বোনের সবচেয়ে ছোট এই মেয়ে আশ্রয় হারিয়েছে নিজের ঘরও দারিদ্র্েযর চাপে ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করে এখন কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে দিন কাটাচ্ছে পরিবারটি। দিনমজুর বাবার একার আয়ের ওপর তিন মেয়ের সংসার যেমন চলে, তেমনি চলে অসম্ভব সংগ্রাম।
মেধাবী মুন্নী এবছর হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে। পরিবারের অভাব ভেঙে নিজের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই স্বপ্ন এখন নিভে যাওয়ার উপক্রম।
কান্নাভেজা কণ্ঠে বাবা আব্দুন নূর বলেন, আমি গরিব মানুষ, দিনমজুরের কামলা খাইয়া মেয়েদের লইয়া চলি। আমার মুন্নীটা মা-হারা। মা-বাবা আমি একলাই। আমার বাচ্চাটার চিকিৎসার খরচ আমার পক্ষে সম্ভব না। আল্লাহর ওয়াস্তে আমার মেয়েটারে বাঁচাইয়া দেন।
চিকিৎসকদের মতে, মুন্নীর উন্নত চিকিৎসা জরুরি। দেরি হলে তার জীবনহানি ঘটতে পারে। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা এতই নাজুক যে চিকিৎসার খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
মুন্নীর মতো একটি কিশোরীর জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন সমাজের মানবিক সহায়তা-একটি হাত বাড়িয়ে দেওয়া, একটি হৃদয়ের দরজা খোলা। আপনার ছোট একটি সহযোগিতাও হতে পারে তার বেঁচে থাকার বড় শক্তি।
সাহায্য পাঠানোর নম্বর (বিকাশ): ০১৭২৯-০০৪৬১১, যোগাযোগ: মুন্নীর বাবা (আব্দুন নূর)-০১৭৩৮-৭২৬৮৩৮।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host