ছাতকে ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারকে উৎখাতের চেষ্টা-হুমকি

প্রকাশিত: ৮:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>ছাতকে ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন</span> <br/> সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারকে উৎখাতের চেষ্টা-হুমকি

ছাতক প্রতিনিধি
ছাতকে একটি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারকে তাদের জন্মভিটা থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের বিরুদ্ধে। প্রায় ৮০-৯০ বছর ধরে বৈধভাবে বসবাস করা ১৭ শতক ভিটে-মাটির ওপর এখন সৃষ্টি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা ও আতঙ্ক।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) পৌরসভার ০৪নং ওয়ার্ডের শ্যামপাড়া (পালপাড়া) দুপুরে ভুক্তভোগীর নিজ বাড়ীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সিবানী রানী চন্দ। তিনি পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে ধরেন।

তিনি জানান, তাদের পরিবার প্রজন্মের পর প্রজন্ম কুমনা মৌজার ডিসি খতিয়ানের জমিতে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে বসবাস করছেন। কিন্তু আকিজ প্লাস্টিক কোম্পানির জিএম মুন্না ও সুহেলের নেতৃত্বে একদল দখলদার দীর্ঘদিন ধরে তাদের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

সিবানী রানী চন্দ সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন, দখলদার চক্র সন্টু চন্দকে বারবার ডেকে নিয়ে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য ভয় দেখিয়েছে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়েছে। চাচা রাজি না হওয়ায় তাদের ওপর চক্রটি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি, হত্যা মামলা সাজানোর হুমকিও দেওয়া হয়। এসব হুমকির ভিডিও প্রমাণ তাদের পরিবার সংরক্ষণ করে রেখেছে বলেও জানান তিনি।

সিবানী রানী চন্দ তিনি আরও বলেন, গত ২০ নভেম্বর দখলদাররা তাদের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি অভিযোগ দায়ের করে। এরপর ২৬ নভেম্বর ভুক্তভোগী সন্টু চন্দ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তাতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় দখলদার চক্র আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে পরিবারটি প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে যে কোন সময় দখলদাররা জোর করে ঘর ভেঙে দিতে পারে বা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিতে পারে।

সিবানী রানী চন্দ অভিযোগ করে বলেন, আমরা হিন্দু সংখ্যালঘু মানুষ। আমাদের আত্মরক্ষার ক্ষমতা নেই। ১৭ শতক ভিটে-মাটিই আমাদের শেষ সম্বল। আজ সেটাই কেড়ে নিতে চাইছে একটি প্রভাবশালী চক্র।

তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে দখলদারদের অন্যায় কর্মকাণ্ড জাতির সামনে তুলে ধরার অনুরোধ জানান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

অভিযুক্ত এজিএম সোহেল বলেন, আমি ফ্যাক্টরি হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি তবে জমি-জমা বিষয়ক দায়িত্ব আমার নয়। এসব কাজ স্টেট হেডের অধীনে মুন্না সাহেবসহ তাঁর একটি টিম দেখভাল করেন। এখানে তারা আমার নাম কীভাবে বা কেন যুক্ত করেছে সেটা আমার জানা নেই। আরেক অভিযুক্ত জিএম মুন্নাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কোনো কল রিসিভ করেননি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর