সুনামগঞ্জে ১৩০ জনের আবেদন, মাঠে নেমেছে দুটি ইউনিট
সিলেটে ভুয়া জুলাই যোদ্ধা শনাক্তে তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>সুনামগঞ্জে ১৩০ জনের আবেদন, মাঠে নেমেছে দুটি ইউনিট</span> <br/> সিলেটে ভুয়া জুলাই যোদ্ধা শনাক্তে তদন্ত শুরু

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
সিলেটসহ বিভাগের চার জেলায় এবার ভুয়া জুলাই যোদ্ধা শনাক্তে মাঠে তদন্তে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুটি ইউনিট। ইতোমধ্যে জুলাই যোদ্ধাদের আবেদন তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পেরিয়ে গেছে এক বছরের বেশি সময়। এরই মধ্যে অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতের তালিকা তৈরি করে চূড়ান্তভাবে গেজেটভুক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

তবে এখন যেন সবার একই আবদার, আর তা হলো ‘জুলাই যোদ্ধা’ হওয়া। অনেকে আন্দোলনে যুক্ত না হয়ে এবং আহত না হয়েও নিজেকে দাবি করছেন জুলাই অভ্যুত্থানের ‘আহত যোদ্ধা’ হিসেবে। ভিন্ন কারণে নিহত হলেও পরিবারের দাবি, জুলাই আন্দোলনের ‘শহীদ’! তবে ভুয়া এসব জুলাই যোদ্ধাকে ঠেকাতে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। সত্যিকারের জুলাই যোদ্ধাদের শনাক্তে তদন্তে নেমেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

অপরদিকে সুনামগঞ্জে ১৩০ জন জুলাই যোদ্ধা হতে আবেদন করেছেন।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পার হওয়ার পরও জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর ও বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আরও ১ হাজার ৯৩৮ জনকে নতুন করে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে গেজেট তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব আবেদন যাচাই করতে গিয়ে রাজনৈতিক আবদার, সামাজিক চাপসহ নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ জন্যই এসবি ও পিবিআই দিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করা ১ হাজার ৯৩৮ জনের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠির আলোকে গত ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনগুলো যাচাইয়ের জন্য পুলিশের বিশেষায়িত দুটি ইউনিট এসবি ও পিবিআইয়ে পাঠানো হয়। পুলিশের এই দুটি ইউনিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠির উল্লেখ করে বলা হয়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী এক বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও জুলাই গণঅভ্যুথান অধিদপ্তর ও বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ১ হাজার ৯৩৮ জনকে নতুন করে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে গেজেট তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই তালিকাটি এমআইএসভুক্ত করার আগে অধিকতর যাচাই-বাছাই করা আবশ্যক। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগওয়ারী ৪১টি জেলার ১ হাজার ৯৩৮ জনের তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে। সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত ব্যক্তিগণ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হয়েছেন কি না এবং তারা প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা কি না, এ বিষয়ে পিবিআই/এসবির মাধ্যমে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’

নকল জুলাই যোদ্ধা ঠেকাতে যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা:

আবেদনগুলো যাচাইয়ের সময়ে তদন্তকারীরা অন্তত ১৬টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। এর মধ্যে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে আবেদনকারীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধনের নম্বর, আবেদনকারীর পেশা, আবেদনকারী আগে গেজেটভুক্ত হয়েছে কি না, আহত বা শহীদ পরিবার দাবি করে আবেদন করা ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছিল কি না, মামলা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তার নাম-পদবি, সিআর বা জিআর মামলা হলে বাদীর নাম-ঠিকানা ও পেশা, আহত-নিহতের সঙ্গে বাদীর সম্পর্ক, মামলার বর্তমান অবস্থা, সাক্ষীদের নাম-ঠিকানা, আহত বা নিহত হওয়ার ছবি-ভিডিও, সংবাদমাধ্যমসহ অন্যান্য দালিলিক প্রমাণ, চিকিৎসা প্রদানকারী হাসপাতালের নাম ও চিকিৎসকের নাম এবং সময়কালসহ চিকিৎসার তথ্য নেওয়া হচ্ছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর