ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৯
বিজয়ের কন্ঠ ডেস্ক :: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন তার এলাকার স্থানীয়রা। তবে তাঁকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে থাকতে দেখা যায়নি। ছেলে হত্যার খবর পেয়ে তাদের বাড়িতে এখন শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ সোমবার সকালে পিটুনিতে নিহত হয় এ বুয়েট শিক্ষার্থী। আবরারের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই মোড়ে।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আবরার ফাহাদের পুরো পরিবার। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাঁদের বাড়ি। তাদের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবরারের বাবার নাম বরকতুল্লাহ। বাবা ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। আবরার মাঝে মাঝে তাবলিগে যেত বলে জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠরা। বুয়েটে ভর্তির পর দুই তিনবার সে ধর্মীয় কাজে তাবলিগে গিয়েছিল।
ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থাকে। বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের কাছেই তাঁর হোস্টেল।
ফাহাদের হত্যার ঘটনায় রাসেল ও মুস্তাকিম ফুয়াদ নামে দু’জনকে আটক করছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও ফুয়াদ বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। শিবির সন্দেহে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে। সুত্র : ইনকিলাব।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host