৭ দিনের রিমান্ডে মামুনুল হক, থাকবেন ইবাদত উপযোগী জায়গায়

প্রকাশিত: ৪:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০২১

৭ দিনের রিমান্ডে মামুনুল হক, থাকবেন ইবাদত উপযোগী জায়গায়

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

 

সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজেদুল আদালতে মামুনুলকে হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামুনুলেল ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ৬ মার্চ মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ এলাকায় সাত গম্বুজ মসজিদে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আসামি মাওলানা মামুনুল হক ও তার ভাই মুহতামিম মাহফুজুল হকের নির্দেশে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আসামি ওমর এবং ওসমান, বাদী ও তার সঙ্গে থাকা অন্যান্যদের মসজিদের ভেতর আমল করতে নিষেধ করে। তাদের ধর্মীয় কাজে আঘাত করে তাদেরকে আসামিরা মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলে ।

 

 

বাদী তার প্রতিবাদ করলে মাওলানা মামুনুল ও তার ভাইয়ের নির্দেশে ওই মাদ্রাসার আরও ৭০/৮০ জন ছাত্র মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে। ওমর ও ওসমান তাদের হাতের লাঠি দিয়ে বাদীকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর আসামিরা বাদীর কাছে থাকা একটি স্যামসাং মোবাইল, নগদ ৭ হাজার টাকা, ২০০ ডলার ও ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ডেবিড কার্ডসহ বাদীর মানিব্যাগ নিয়ে যায় এবং পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করতে দেখলে তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় আসামিরা।

 

 

মামুনুলের বিরুদ্ধে অত্র মামলায় জড়িত থাকার সাক্ষ্যপ্রমাণ প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্যের মাধ্যমে ধর্মভীরু মুসলমান ও মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

 

 

এর আগে রবিবার (১৮ এপ্রিল) মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি।

 

 

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামুনুল হককে প্রথমে পুলিশের তেজগাঁও ডিভিশনের ডিসি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়ও সহিংসতা করায় একাধিক মামলায় মামুনুল হকের নাম রয়েছে। প্রথমে তাকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। পরে একে একে সব মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

 

এদিকে ইবাদত করার উপযোগী জায়গায় রাখার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হক। রিমান্ড শুনানির সময় বিচারকের কাছ থেকে তিনি এ আবেদন করেন। সোমবার (১৯ এপ্রিল) রিমান্ড শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামুনুলের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামুনুলের আবেদনও মঞ্জুর করেন আদালত।

 

রিমান্ড শুনানি শেষে মামুনুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ একথা জানান। তিনি বলেন, এসময় আদালতে মাওলানা মামুনুল হক কথা বলার জন্য অনুমতি চান। অনুমতি নিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘আমি রমজানে নিয়মিত ইবাদত করি, রোজা রাখি। গতকাল (রবিবার) আমাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেটা বসবাস ও ইবাদতের অনুপযোগী। আমি আদালতের কাছে আবেদন জানাই, আমাকে যেন ইবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হয়।’

 

তখন আদালত বলেন, ‘আপনাকে ইবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হবে। আপনার কোনও কষ্ট হবে না, ইবাদতের বিঘ্ন ঘটবে না।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর