ঢাকা ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২১
বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘দেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই। শুধু করোনাকালে আমদানি করার প্রয়োজন হয়েছিল লিকুইড অক্সিজেন।’ মঙ্গলবার রাজধানীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সারাবছর ভারত থেকে অক্সিজেন আমদানি করি না। এই করোনার সময় যখন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী ছিল তখন প্রতিদিন আমরা আমদানি করেছি। কিন্তু গত চার পাঁচ দিন কোনও অক্সিজেন আসছে না, আমরা তো চলছি। আমাদের তো অক্সিজেনের অভাব নেই। আমরা তো শুধু লিকুইড অক্সিজেন দিয়ে কাজ করি না। সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন তো নতুন হলো, এর আগেও হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল। সেগুলোর কিছু লিকুইড অক্সিজেন, আর বেশিরভাগই ছিল গ্যাস অক্সিজেন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই। এর প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি অনেক। আমাদের লোকাল যারা লিকুইড অক্সিজেন তৈরি করে তাদের সব নিয়ে আমরা হাসপাতালে দেবো, যেখানে প্রয়োজন হবে। আমাদের অনেক শিল্পকারখানাতেও লিকুইড অক্সিজেন নেয়, সেটাও আমরা রিজার্ভ করে ফেলেছি, প্রায় ৪০ টনের মতো। আমরা আমদানি করতাম ৪০-৫০ টন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালগুলোতে যেখানে গ্যাস অক্সিজেন ব্যবহার করার সুযোগ আছে সেখানে আমরা বলেছি, গ্যাসে কনভার্ট করে ফেলতে বলেছি। এখন গ্যাস দিয়ে চলতে বলেছি। তাতে আমাদের লিকুইড গ্যাসের প্রয়োজন পড়বে না। পাশাপাশি আমরা ছোট ছোট প্ল্যান্ট ইমপোর্ট করার ব্যবস্থা নিয়েছি। এটাও পর্যাপ্ত না, কারণ সবদেশেও তো প্রয়োজন। এরপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, এগুলো নিয়ে এসে হাসপাতালে স্ট্যান্ডবাই রাখবো। কিন্তু বর্তমানে যে পরিমাণ রোগী আছে আমরা হিসাব করে দেখেছি, এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রোগী যদি ৭ হাজারের জায়গায় ২১ হাজার হয় তাহলে কিন্তু সংকট হবে। শুধু এই দেশ না, যেকোনও দেশেই সংকট হবে।’
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে টিকার প্রসঙ্গ টেনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বারবার অনুরোধ জানিয়েছেন ভ্যাকসিনের জন্য। আশা করছি, হয়তো আমরা তাড়াতাড়ি পাবো। কিন্তু কখন পাবো সেই সঠিক সময়টি আমরা জানতে পারিনি। হয়তো আগামী অল্পদিনের মধ্যে জানতে পারবো। কিন্তু আমরা শুধু ভারতের ভ্যাকসিনের জন্য বসে থাকিনি। চীন, রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং সেটা বেশ কিছুদূর এগিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গত বছরের মে মাস থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছি। যার কারণে অনেক দেশের আগে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছি এবং সুন্দরভাবে দিয়েছি। আমরা ৩ কোটি ডোজ অর্ডার দিয়েছিলাম এবং টাকাও দিয়েছি। কিন্তু আফসোসের বিষয়, ভ্যাকসিনগুলো সময়মতো পাচ্ছি না। এর ফলে ভ্যাকসিন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং বেক্সিমকো চেষ্টা করে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে। আমরা মনে করি, চীন-রাশিয়া থেকেও কিছু ভ্যাকসিন আগামীতে আনতে পারবো। চীন আমাদের ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এটি তারা উপহার হিসেবে দেবে।’
জাহিদ মালিক বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে পৃথিবীতে একটা টানাপড়েন আছে। কারণ ভ্যাকসিন উৎপাদন কম। ১০ ধনী রাষ্ট্র ৭০ শতাংশ ভ্যাকসিন নিয়ে গেছে। অনেক রাষ্ট্র আছে এখনও পর্যন্ত নিতেই পারেনি। আমাদের আশেপাশের দেশেও ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়নি। কিছু দেশে অল্প অল্প শুরু হয়েছে, কিন্তু আমাদের মতো ব্যাপকভাবে তারাও দিতে পারেনি।’
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host