ঢাকা ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের আদালতে দায়ের করা দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা খারিজের পর আনন্দ মিছিল করেছে জেলা-মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠন।
রবিরার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট মহানগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় এ আনন্দ মিছিল হয়। মিছিলে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে ২০১৪ সালে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের দুটি মামলা খারিজ করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩ আদালতের বিচারক ছগির আহমদ।
২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর সিলেট জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এম রায়হান আহমদ চৌধুরী এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি শামীম মোল্লা বাদী হয়ে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পৃথক দুই মামলা করেন।
মামলা দুটিতে অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌম, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে বিরোধিতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘কটূক্তি’ করেন।
সে সময় আদালত মামলা দুটি গ্রহণ করে সরকারের অনুমোদনক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে শাহপরান থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পরবর্তী সময়ে পুলিশ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর ভিত্তিতে একটি মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার প্রসেস দাখিলের জন্য বাদী পক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু এরপর থেকে মামলার বাদী আদালতে হাজির হননি এবং প্রসেসও দাখিল করেননি। এরই প্রেক্ষিতে আদালত মামলা দুটি খারিজ করে দিয়েছেন।
এদিকে, রায় ঘোষণার পর পরই আরেকটি পৃথক আনন্দ মিছিল বের করে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদল। মিছিল পরবর্তী এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন।
এসময় তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে তারেক রহমান সুবিচার পেয়েছেন। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত হয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে তাঁকে এ মামলায় জড়িয়েছিলেন। এর মাধ্যমে আধিপত্যবাদী শক্তি তারেক রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাইনাস করার চক্রান্ত করেছিল। কিন্তু আদালতের রায়ে তাদের সে চক্রান্ত ভেস্তে গেছে। তারেক রহমান সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আগামীর সাম্য ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মানে তারেক রহমান নেতৃত্ব দিবেন ইনশাআল্লাহ।
সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. সম্রাটের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বখত তারেক।
এসময় শাহ নেওয়াজ বখত তারেক বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে অবৈধভাবে তারেক রহমানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে সাজা দিয়েছিল। আপিল বিভাগ যথার্থ রায় দিয়েছেন। প্রথম তিনটি চার্জ শিটে তারেক রহমানের নাম না থাকলেও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর চতুর্থ চাজশিটে তারেক রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আজ প্রমাণিত হয়েছে এই চার্জশিট আইনবহির্ভূত ছিল। তাই এই চার্জশিটে যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল তারা এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
সমাবেশ ও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বেলাল, জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর বক্ত চৌধুরী সুহেব, জেলা সহ-সভাপতি ময়নুল ইসলাম মঞ্জুর, মহানগর সহ-সভাপতি প্রাণেশ দে, জেলা সহ-সভাপতি আলাল আহমদ, জেলা সহ-সভাপতি জুবায়ের আহমদ, মহানগর সহ-সভাপতি সুরুজ আলী, মহানগরের ১ম যুগ্ম সম্পাদক এমদাদুল হক স্বপন, জেলার ১ম যুগ্ম সম্পাদক মকসুদুল করিম নুহেল, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক কল্লোল জ্যোতি বিশ্বাস জয়, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক কয়েছ আহমদ, জেলা যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল ইসলাম রুমেল, মোজাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, এনামুল হক চৌধুরী শামীম, মাসুক আহমদ, দুলাল আহমদ, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক ইসহাক আহমদ, এম এ সালাম, আহমেদ খান জুনেদ, জাহিদ হাসান, হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলার যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাকিব ইসলাম, খালেদ আহমদ, লুৎফুর রহমান, মো. মোস্তাক আহমদ, জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রাজু, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ খান তাইফুর, ছবরুল ইসলাম নেপুর, জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ শাহীন, শহীদ হোসেন টিটু, জি.এম. শফিক আহমদ, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল আহমদ মাসুম, গোলাম কিবরিয়া আবির, মিজানুর রহমান রুমন, রুবেল আহমদ, জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাসরুর রাসেল, মহানগর দপ্তর সম্পাদক পারভেজ আহমদ, জেলার দপ্তর সম্পাদক রেদওয়ান আহমদ, যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক সোহানুর রহমান সামাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সাজিব আহমদ, মৎস্য ও পশুপালন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল আলম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ওয়েছ আহমদ বীর, মহানগর যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক কয়েছ আহমদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফয়ছল আহমদ, জেলার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলিউর রহমান আলী, কবির আহমদ সাজু, সেলিম আহমদ রনি, মামুনুর রহমান, মহানগর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন আহমদ, আবেদ আলী, মহানগরের সহ-কোষাধ্যক্ষ মাসুম আহমদ, সহ-যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক রায়হান আহমদ, সহ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফয়সল আহমদ, জেলার সহ-বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রেহান আহমদ কামরান, জেলার সদস্য খলিলুর রহমান, আলী আজম চৌধুরী, এ.বি. কালাম, মহানগর সদস্য কামরান হাসান, শাহাদাত বখত অপু, আব্দুল মালেক, সদর উপজেলার ১ম যুগ্ম আহবায়ক মো. আইনুল হক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন রশিদ প্রমুখ।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host