মানা হচ্ছে না উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা
তাহিরপুরে নৌকা ঘাটের ইজারা অনিয়মে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>মানা হচ্ছে না উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা</span> <br/> তাহিরপুরে নৌকা ঘাটের ইজারা অনিয়মে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

আব্দুল আলীম ইমতিয়াজ, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় খেয়াঘাট ইজারা দেয়া নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দরপত্র গ্রহণ করলেও দরপত্রে অংশগ্রহকারীরাই পাল্টাপাল্টি আভিযোগে কর্তৃপক্ষের প্রতি অনিয়মের ইঙ্গিত তুলেছেন।
গত ১২ই জানুয়ারি সুনামগেঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন নৌকাঘাট ইজারা সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান করে বৃহষ্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নৌকাঘাট সমূহের দরপত্র জমা এবং খোলার তারিখ ছিল। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক অফিসে একটি দরপত্র জমা হওয়ায় শিডিউল অনুযায়ী বেলা ৩টার পরিবর্তে বিকেল ৫টায় টেন্ডার বাক্স খোলা হয়। ফাজিলপুর নৌকা ঘাটের বিপরীতে ৪টি শিডিউল জমা পড়ে। দরপত্রের খাম খোলে ৪টি দরপত্রের মধ্যে মো. জবা মিয়ার দরপত্রটিকে সর্বোচ্চ ডাককারী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তবে জবা মিয়ার দরপত্রে টেম্পারিং করে মূল্য বাড়ানোর অভিযোগ করেছেন আরেক দরপত্র দাতা সাগর মিয়া। এই মর্মে একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি।
সাগর মিয়া জানান- জবা মিয়ার দরপত্রে ৩কোটি ৯৫ হাজার টাকা দরপত্র মূল্য লেখা ছিল। সেখানে টেম্পরিং করে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দরপত্র মূল্য বানিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা ঘোষণা করা হয়েছে।
টেম্পারিংয়ের বিষটি অস্বীকার করে জবা মিয়া জানান- আমি সঠিক পন্থায় সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হয়েছি, তবে এখনও খেয়াঘাটের দখলনামা পাইনি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মো. আবুল হাসেম বলেন- ‘দরপত্রে অঙ্কে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা লিখা ছিল। কিন্তু সংখ্যায় লেখার সময় ভুলবশত ৩ কোটি ৯৫ হাজার টাকা লিখা হয়েছে। এটা কোন ত্রুটি নয়।’
এদিকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রীট পিটিশন নং- ১৯৫১/২০২৫ এর আদেশ মোতাবেক ফাজিলপুর নৌকা ঘাটের ইজারা কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য উচ্চ আদালতের আরেকটি নির্দেশনা রয়েছে।
রিটকারী সুনামগঞ্জ জেলা নৌযান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন- ‘ফাজিলপুর নৌকা ঘাটে কখনও মালামাল উঠানামা হয় না। নৌকাঘাটটি ইজারা না দেয়ার জন্য বহুবার প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদন নিবেদন করে ব্যর্থ হই। শেষে উচ্চ আদালতে রিট (১৯৫১/২৫) দায়ের করি। শুনানী শেষে উচ্চ আদালত ৬ মাসের স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। আদেশের অ্যাডভোকেট সার্টিফিকেট ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে দাখিল করে রিসিভ সংগ্রহ করি। উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ফাজিলপুর নৌকাঘাটের শিডিউল গ্রহণ ও ওপেন করা হয় বলে দাবি করেন জাহাঙ্গীর আলম।’

রিট দায়ের ও আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানতে চাইলে তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাসেম সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জানান- ‘ফাজিলপুর নৌকা ঘাট ইজারা কার্যক্রম বন্ধে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞার একটি অ্যাডভোকেট সার্টিফিকেট (উকিল নোটিশ) পেয়েছি। আপাতত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের রিট ব্রাকেট হলে ঘাটের দখলনামা সমজিয়ে দেয়া হবে।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর