ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটে ভারী বর্ষণে নগরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে নগরের বেশ কয়েকটি নিচু এলাকায় পানি জমে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। অনেকের বাসা-বাড়িতেও পানি ঢুকে পড়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানেও পানি ওঠে গেছে।
মঙ্গলবার (২০মে) সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে টানা দুইঘন্টা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অবশ্য দিনের বেলা আরও বৃষ্টিপাত হলেও জলাবদ্ধতার পানি নেমে গেছে। কিছু কিছু এলাকা থেকে ধীরে ধীরে পানি নামছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, মঙ্গলবার (২০মে) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরে ৯টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত আরও ৮২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রাত এবং আগামীকালও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সিলেটে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত মুষলধারে বিৃষ্টি ঝরে সিলেটে। এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বিভিন্ন স্থানে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের কাজলশাহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ, আখালিয়া, সুবিদবাজার, চৌহাট্টা সিভিল সার্জন কার্যালয়, মেজরটিলা, ইসলামপুর ও দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড এলাকায় ও ভার্থখলা এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে নাগরিক জীবনে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মুকিদ আহমদ বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমে যায়, তখন জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ।’
মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা আবু আহমেদ শওকত আলী বলেন, ‘শাহপরান ও মেজরটিলাসহ অনেক আবাসিক এলাকায় সকালে পানি জমে যায়। এ এলাকার নালাগুলো অনেক দিন ধরে কার্যকর নেই।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন বলেন, ‘চলতি বছর বর্ষার আগেই আমরা বেশিরভাগ খাল ও নালা পরিষ্কার করেছি, ফলে আগের তুলনায় পরিস্থিতি অনেক ভালো। বৃষ্টির সময় কিছু এলাকায় পানি জমলেও তা দীর্ঘ সময় ধরে স্থির থাকছে না।
তিনি আরও বলেন, ‘জলাবদ্ধতা দ্রুত চিহ্নিত করতে ড্রোন ও অ্যাকশন ক্যামেরার মাধ্যমে খাল-নালাগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করে, তাহলে এ বছর দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা হবে না।’
অন্যদিকে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ও টানা বৃষ্টিতে সিলেট বিভাগের সব প্রধান নদ-নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় দ্রুত বেড়েছে। তবে কোনো নদীর পানি এখনো বিপদসীমা অতিক্রম করেনি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, পিয়াইন ও সারিগোয়াইনসহ সব নদীর পানি সব পয়েন্টে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, তবে তা এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সাজিব হোসেন বলেন, ‘আজ সকালে তিন ঘন্টায় ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সিলেট বিভাগের আকাশে ঘন মেঘ রয়েছে। আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host