ঢাকা ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২৫
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও আবু সুফিয়ান হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হয়নি, বিচারের দাবিতে নিহতের পরিবারের মানববন্ধন। হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বিপ্লবী চত্বরে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কমসূচী পালিত হয়।
এসময় একাধিক ব্যক্তির বক্তব্েয বলেন, গত ১৪/১/২৪ ইং তারিখে মো আবু সুফিয়ান (২০) ঘটনার রাত ৯ টায় টিফিন বক্সে খাবার নিয়ে তাহিরপুর উপজেলার লাউড়েরগড় যাদুকাটা নদীতে কাজের উদ্দেশ্য রওনা হয়। কিন্তু রাতে সে ঘরে না ফেরায় অনেক জায়গায় তাকে খোঁজা খোজি করে সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে ভোর বেলা তার সহকর্মী সৈকত মিয়া আবু সুফিয়ানের পরিবারকে মোবাইল ফোনে জানায় ফতেপুর ইউপির লখা ব্রীজ পয়েন্টের আনোয়ারপুর গামী রাস্তার লখা ব্রীজ এর উত্তর পাশে খালি জায়গায় তার লাশ পরে আছে। আমরা আবু সুফিয়ানের খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে যদি খুনীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় না আনা হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাবো আমরা। নিহতের বাবা মো আলী আহম্মদ জানান, আমার ছেলে একজন নৌ-শ্রমিক। আমার ছেলে প্রায়ই কাজের উদ্দেশ্য তাহিরপুর থানাধীন লাউড়েরগড় যাদুকাটা নদীতে যাইত। ঘটনার রাতে সে টিফিন বক্সে খাবার নিয়ে কাজের উদ্দেশ্য তাহিরপুর লাউড়েরগড় যাদুকাটা নদীতে রওনা হওয়ার পর রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি। ভোর রাতে খবর পাই আমার ছেলের লাশ ব্রীজের নিচে পড়ে আছে। আমি আবু সুফিয়ানের খুনীদের ফাঁসি চাই।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব কোহিনূর, যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাহিদ আলম, ছাত্রদল নেতা মামুনুর রশীদ, ডিগেন্দ্র বর্মন ডিগ্রি কলেজের সাবেক সদস্য সচিব, সৈয়দ আবু ইয়াহিয়া, ইউপি সদস্য সম্ভু তালুকদার, কৃষক মাসুক মিয়া, ব্যবসায়ি আলম মিয়া, কোহিনূর আলম, ফারুক মিয়া, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল হাফিজ, আব্দুল লতিফ, নুর জামাল, নাহিদ হাসান, সাজিদ মিয়া, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাহাবুল করিম, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনসার উদ্দিন, প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল কাদির, আব্দুল আওয়াল, আলম মিয়া, কবির হোসেন, খোকন মিয়া, বেলায়াত হোসেন, দেলোয়ার মিয়া, বদরুজ্জামান, আশরাফুল হক প্রমুখ।
আবু সুফিয়ান হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে আগামী মাসে চুরান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার সময় আমি অন্য থানায় ছিলাম। যেহেতু মামলার তদন্ত পিবিআই করছে। সেহেতু আমি কি করব। তারা যদি পুলিশের সহযোগিতা চায় তাহলে আমি অবশ্যই করব।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host