ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের শাল্লায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোরচক্রের ৭জন চোরসদস্যকে গ্রেফতার করেছে শাল্লা থানা পুলিশ। রাতে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন- মো. হারুন মিয়া(৫৫), মো. আকাশ মিয়া (২০), সাজিদুল মিয়া (৩২), মো. কবির মিয়া (২৮), মাহফুজ মিয়া (১৯), মো. সোলেমান মিয়া (৩৫) ও জসিম মিয়া (৩৫)।
শাল্লার স্থানীয় লোকজন বলেন, কয়েকদিন যাবৎ সারা শাল্লায় জনমনে অশান্তির সৃষ্টি করে আতংকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামান চৌধুরী ফুল মিয়ার বাড়িতে, মেধা গ্রামের আহাদ নুর মিয়ার বাড়িতে, কাশীপুরের মনির মিয়ার বাড়িতে, মনুয়া গ্রামের আবু তাহেরের ঘরে চুরির ঘটনাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪০-৫০ টি চুরির ঘটনা ঘটে।
চোর আতঙ্কে হাওর পাড়ের মানুষ। কেন যে হঠাৎ পরপর চুরির ঘটনা একেরপর এক ঘটেই যাচ্ছে জনমনে এমন প্রশ্ন দেখা দেয়। এরপর নড়েচড়ে বসে শাল্লা থানা পুলিশ প্রশাসন। পরশু রাতে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃশফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস টিম ৪নংশাল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে গ্রাম শাল্লায় গতরাতে কালনী ব্রিজের সরঞ্জামাদি চুরি করতে গিয়ে দু’জন চোরকে আটক করেছেন স্থানীয় লোকজন। একজন হলেন শাল্লা গ্রামের গোলাম হেসেন ফকিরের ছেলে আবুল বাশার (২৫) অন্যজন হলেন সেন-নগরের গ্রামের নিকট (বান্দে) বাসকারী হাদিস মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৪)।
পুলিশ জানিয়েছেন এই দু’জনকে আলাদা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃশফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় স্বল্প জনবল থাকা সত্ত্বেও যে এলাকায় চোর রয়েছে, তাদের চুরি নির্মূলের লক্ষ্যে শাল্লা থানা পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকালেই গ্রেফতারকৃত আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং চোরদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host