ঢাকা ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
ডেস্ক প্রতিবেদন
আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে পাকিস্তান ভূখণ্ডে বিমান হামলায় ৩০০ জন নিহতের দাবি করেছে ভারতীয় বাহিনী।
সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই হামলায় চালায় ভারতীয় বিমানবাহিনী।
তবে, পাকিস্তান দাবি করেছে, নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে ভারতীয় বিমান বালাকোটে বোমা ফেললেও, প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে যায়। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ইন্ডিয়া টুডে’র খবরে বলা হয়েছে, মিরাজ ২০০০ মডেলের ১২টি যুদ্ধবিমান থেকে অন্তত ১ হাজার কেজি বোমা ফেলা হয়। এতে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর সীমান্তের বালাকোট, চাকতি এবং মুজাফপরাবাদে জইশ-এ মোহাম্মদের তিনটি ঘাঁটি গুড়িয়ে গেছে।
ভারতীয় সূত্রের দাবি, প্রায় ২১ মিনিট ধরে বিমান থেকে লেজার নিয়ন্ত্রিত বোমাগুলো ফেলা হয় এবং প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৩০০ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, ভারতের গোয়েন্দারা বিগত কয়েক দিন অন্তত ১৩টি লাঞ্চপ্যাড নিক্ষেপ করে লক্ষ্যবস্তু রেকি করে।
যদিও সর্বশেষ দাবির বিষয়ে পাকিস্তান কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে, পাক সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ডিজি মেজর জেনারেল আসিফ গফুর একাধিক টুইট করে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় বিমানবাহিনী আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘন করে। এরপর পাকিস্তান বিমানবাহিনী টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দেয়। এতে ভারতীয় বাহিনী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।’
বালাকোটে ভারতীয় বাহিনীর ফেলা বোমার ছবি দিয়ে পরে আরেক টুইটে আসিফ গফুর বলেন, ‘পাক বাহিনী সময়মতো এবং উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতীয় বাহিনী আজাদ ও কাশ্মীরের ৩-৪ কিলোমিটার ভেতরে এসেছিল।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় পুলিশ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হন। পরে জইশ-এ মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে। এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। যদিও পাকিস্তান তা নাকচ করেছে।
পুলওয়ামা হামলার প্রেক্ষাপটে পরমাণু শক্তিধর দু’দেশের দীর্ঘ বৈরি সম্পর্কের আরও অবনতি হয়। সীমান্তে উভয় দেশ সমরাস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করে যুদ্ধের হুমকি দিতে থাকে।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে হামলার দাবি করল নয়াদিল্লি। এর আগেও ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে উরিতে ১৯ সৈন্য নিহতের জেরে পাকিস্তান ভূখণ্ডে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি করেছিল দেশটি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host