ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, প্রায় ১০ লাখেরও বেশি নাগরিকদের সিলেট নগরে এতোদিন পাবলিক টয়লেট ছিলো মাত্র দুটি। তাও ছিল কেবল পুরুষদের ব্যবহার উপযোগী। আজ এর পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ধোপাদিঘীরপারের এই পাবলিক টয়লেটটি আধুনিকতার আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। যা নারী-পুরুষ উভয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। সেই সাথে রয়েছে গোসল ও মালামাল রাখার সুব্যবস্থা। তিনি বলেন, বহুজাতিক সেবা সংস্থা ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সিটি কর্পোরেশনের নির্মিত আধুনিক এই পাবলিক টয়লেট উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সিলেট স্মার্ট সিটি বিনির্মাণে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। তিনি বলেন, আগামী কয়েকবছরের মধ্যে সিলেট হবে একটি আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দে বসবাসযোগ্য একটি স্মার্ট নগর। যার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
মেয়র বলেন, ‘সিলেট মহানগরকে একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে উপহার দিতে নগরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরো পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে চৌহাট্টায় স্থাপিত পাবলিক টয়লেট মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, কদমতলী, আদালতচত্তর, টিলাগড়সহ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হবে আরো কয়েকটি পাবলিক টয়লেট’। তিনি জানান, এবিষয়ে বহুজাতিক সেবা সংস্থা ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা নগরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরো কয়েকটি পাবলিক টয়লেট স্থাপন করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বেলুন উড়িয়ে ও ফলক উন্মেচন, ফিতা কেটে পাবলিক টয়লেটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় মোনাজাত করা হয়।
স্মাট সিটি হিসেবে নগরকে গড়ে তুলতে তিনটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিটি কর্পোরেশন। ইতিমধ্যে এটিসহ দুটি’র উদ্বোধন করা হয়েছে। কদমতলীতে অপর পাবলিক টয়লেটের কাজ চলছে। শীঘ্রই এর উদ্বোধন করা হবে। এরপর নগরের আরো জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হবে আরো কয়েকটি পাবলিক টয়লেট।
উদ্বোধনী অনুষ্টানে ‘ওয়াটার এইড’ এর কর্মসূচি ও নীতিমালা প্রণয়ন পরিচালক মো. লিয়াকত আলী, সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ বদরুল হক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ‘ওয়াটার এইড’ এবং এইচ এন্ড এম ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড্যানিয়েল প্যালিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার এবিএম মোবাশের হোসাইন ও যোগাযোগ কর্মকর্তা সামিয়া মালিক। এছাড়া সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, রুহুল আলম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান ছাড়াও সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host