সিলেটে কালোবাজারী ব্যবসায় একক নিয়ন্ত্রক ইয়াবা সালেহ

প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০

সিলেটে কালোবাজারী ব্যবসায় একক নিয়ন্ত্রক ইয়াবা সালেহ

ডেস্ক প্রতিবেদন : সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন সালেহ আহমদ। কালোবাজারী পেশায় যুক্ত থেকে রাতারাতি তিনি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন। প্রশাসনের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে তিনি এখন সিলেটে কালোবাজারী ব্যবসার একক নিয়ন্ত্রক। ভারতীয় চোরাচালানীদের মূলহোতা ইয়াবা সালেহ |  মাদক চোরাচালান ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে প্রশাসনিক অভিযান বিভিন্ন স্থানে জোরদার করা হলেও ইয়াবা সালেহ এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে। অভিযোগ রয়েছে এএসআই জাহাঙ্গীর আলম তার ঘনিষ্ট বন্ধু। এ এসআই জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সালেহর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে বিস্তর।

সিলেটে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে আসে অনেক ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি। এসব গাড়ি থেকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন সালেহ চক্র। বিশেষ করে এই চক্রের চাঁবাজির নিরাপদ রুট তামাবিল ও এয়ারপোর্ট রোড। যেখান থেকে বৈধ পণ্য হলে গাড়ি প্রতি ৫ শত টাকা এবং অবৈধ পণ্য হলে গাড়ি প্রতি ১ থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হয়। এই দুটি রুট দিয়ে ভারত থেকে আসছে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে পিয়াজ, কসমেট্রিক, কাপড় মাদকদ্রব্য সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। সাহেল চক্র এখান থেকেই গাড়ি প্রতি আদায় করে ১৫ হাজার টাকা।
গত ২২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে রাত অনুমানিক ২ ঘটিকার সময় একটি ট্রাক আটক করেন গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো গ ১১ণ্ড১২৭০। গাড়ীর ভিতরে ছিলো আমদানী নিষিদ্ধ নাসির বিড়ি। এই গাড়ি ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় এই সালেহ চক্র। গাড়ীটি আটক করা হয়েছিল সিলেটের তামাবিল রোডে হরিপুর বাজার হতে সিলেটের উদ্দেশ্যে ৫০০ গজ সামনে। ২৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে আবার আরো একটি চোরাই মালের গাড়ি জব্দ করা হয়, গাড়ী নং ঢাকা মেট্রো ন ১৪ণ্ড২৬২৯। উক্ত গাড়ী ভর্তি ছিলো চোরাই পথে আনা ভারতীয় পিয়াজ। এই গাড়ীটিও ২ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় সাপেক্ষে ছেড়ে দেয় এই চক্র। এর আগে এই অপরাধে সালেহ আহমদ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে চোরাচালান সহ গ্রেপ্তার হন ৪ বার। তার বিরুদ্ধে মানকসহ ৮ টি চোরাচালানের মামলা হয়।

সালেহ আহদম উরপে ইয়াবা সালেহ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের মিনার আলীর ছেলে। সে ২০১৫ সালে ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে লিটন ষ্টোর নামে এক দোকানে মাসিক ৩ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করতো। ২০১৬ সালে জেলা ডিবির সদস্যরা ফেঞ্চুগঞ্জে একটি অভিযানে যান।

তখন সালেহের সাথে ডিবির এসআই মসিউরের পরিচয় হয়। এই সূত্রে সালেহ ধীরে ধীরে সোর্স হিসাবে কাজ করতে শুরু করে। ২০১৭ সালে মসিউর তাকে সিলেটে এনে এই পথ ধরিয়ে দেন। আর সেই পথ অবল¤¦ন করেই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে সালেহ। বর্তমানে সালেহ অর্ধশত কোটি টাকার মালিক। রয়েছে সালেহের ব্যক্তিগত চারটি প্রাইভেট গাড়ি ও সিলেট শহরে কয়েকটি বাড়ি। এছাড়া মোগলাবাজারে তার নতুন আরেকটি বিলাশ বহুল বিল্ডিয়ের কাজ চলমান রয়েছে।

সর্বশেষ ২৪ খবর