ঢাকা ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেট বিআরটিএ এর তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন সিলেট মোটর মালিক গ্রæপ, সিলেট মিনিবাস মালিক গ্রæপ ও সিলেট সিএনজি অটোরিকশা মালিক গ্রæপের সদস্য অসীম কুমার দাস। তিনি রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিন সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগের অনুলিপি প্রদান করা হয়। ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের গ্রহণকৃত সীল ও তারিখ সম্বলিত অভিযোগের কপিটি গণমাধ্যমের হস্তগত হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে সিলেট বিআরটিএ কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক রাবেয়া আক্তার ভ‚ইয়া, সিল মেকানিক মীর মোহাম্মদ আলী এবং মোটরযান পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডসহ সেবা গ্রহীতাদের হয়রানীরও অভিযোগ আনা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অসীম কুমার দাস তিনির নিজস্ব অমনিবাস গাড়ির (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭২৭৯) সব কাগজপত্র সম্পন্ন করে গত ২২ নভেম্বর অ্যান্ড্রোসমেন্টের জন্য অফিস সহকারী রাবেয়া আক্তার ভ‚ইয়ার নিকট নিয়ে যান। কিন্তু তিনি অ্যান্ড্রোসমেন্ট ফাইল রিসিভ না করে উল্টো ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ ছাড়া কমার্শিয়াল গাড়ি রেকর্ডভ‚ক্ত হয় না। টাকা দিলে কাজ হবে আর না দিলে ফাইলটি নিয়ে সহকারী পরিচালকের সাথে আলাপ করে তার অনুমতি নিয়ে আসতে হবে বলে অসীমকে বিদায় দেন।
এদিকে ঘুষ না দিয়ে ফাইলটি নিয়ে গত ২৬ নভেম্বর ফিটনেস শাখায় কর্মরত সিল মেকানিক মোহাম্মদ আলীর নিকট যান অসীম। এসময় তার মালিকানাধীন অটোরিকশা সিলেট-থ-১১-৫৭৮৭ নম্বর গাড়ি ও অমনিবাস গাড়ির ফিটনেসও দাখিল করেন। কিন্তু রাবেয়া আক্তার ভ‚ইয়ার ন্যায় মোহাম্মদ আলীও অসীমের কাগজ গ্রহণ না করে অমনিবাস গাড়ির বিপরীতে ৪ হাজার টাকা ও অটোরিকশার বিপরীতে ৭০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
অসীম তার অভিযোগে লেখেন, তিনি রাবেয়া ও মোহাম্মদ আলীর ঘুষের বিপরীতে কোনো টাকা না দিয়ে সহকারী পরিচালকের নিকট মৌখিকভাবে অভিযোগ দাখিল করেন। তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সেকশনের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে বিদায় করে দেন। এমনকি ঘুষ না দেওয়ার কারণে অভিযুক্ত কর্মকর্তারা তার সাথে বিষোদাগার করেন। এর আগে তাঁর মালিকানাধীন গাড়ির চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দিতে কাগজপত্র নিয়ে একাধিকবার বিএআরটিএ অফিসে গেলেও অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা ফাইল গ্রহণ না করে তাঁর সাথে খারাপ আচরণসহ লাঞ্ছিত করেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন অসীম।
ক্ষোভের সাথে অসীম কুমার দাস বলেন, ‘বিআরটিএ সিলেট অফিসে এখন দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য আর অনৈতিক কর্মকান্ডের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। এখানে শুধু আমি নয়, প্রতিনিয়ত অনেকেই আমার মত ভুক্তভোগী হচ্ছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলেন না। আমি ন্যায় বিচার পেতে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত হলে অবশ্যই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হবে এবং অপরাধীরা শাস্তি পাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি অভিযোগের অনুলিপি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিআরটিএ ঢাকা সদর কার্যালয়ের প্রশাসনিক পরিচালক, সিলেটের জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন সিলেটের সহকারী পরিচালক, সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালকসহ সিলেটের সাপ্তাহিক এবং দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক বরাবরে প্রেরণ করেছি। আশাকরি ন্যায় বিচার পাবো।’
গণমাধ্যমে প্রেরিত অভিযোগপত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহের গ্রহণকৃত সীল ও তারিখ যুক্ত রয়েছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host