ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০২১
ছাতক প্রতিনিধি
ছাতক উপজেলাধীন নোয়ারাই ইউনিয়নের বেতুরা গ্রামের মা মেয়ের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় পুর্ব আক্রুশে পিতা পুত্রের নামে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেছেন উপজেলার বেতুরাআসাদ নগর গ্রামের মনোয়ারা বেগম। গত সোমবার বেতুরা গ্রামবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
সেমা বেগম ও তার মা দীর্ঘদীন যাবত অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন বেতুরা গ্রামের একাধিক মুরব্বী। এসব ঘটনায় গ্রামবাসী মিলে সম্প্রতি একটি শালিস বৈঠকে বসেন। অসামাজিক অনৈতিক ঘটনা দিন দিন গ্রামে বৃদ্ধির কারণে যুবকরা নানা অপরাধ জড়িয়ে পড়ছে বিধায় বৈঠকে তারা গ্রামের আশপাশে যেন অনৈতিক আর কোনও কর্মকান্ড না ঘটে সে বিষয়ে মা মেয়েকে শর্ত বেঁধে দিয়েছেন। এ ঘটনার পর মা মেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আকবর আলী ও তার চার পুত্রের নামে ছাতক থানায় ধর্ষণ চেষ্টায় (মামলা নং ২৭/২৪/০৫/২০২১ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯/(৪)খ, ৪৪৭/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩০৭/ ৫০৬) দায়ের করেন। এ ঘটনায় আকবর আলী(৭০)কে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এ মামলাটি সঠিক তদন্তের দাবিতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার, ছাতক দোয়ারা বাজারের সার্কেল ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে গত ১৫ জুলাই গ্রামের ২৪ জন মুরব্বী স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার নোয়ারাই ইউপির বেতুরা গ্রামের আমিন মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার কন্যা সেমা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে মা মেয়ে গ্রামে নিজ বসত ঘরে অসামাজিক অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছে। একাধিক য্বুকদের আনাগুনা অবাধে চলছিল বলে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন। এ ছাড়াও ইমো হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে অশ্লীল কর্মকান্ড করে গ্রামসহ আশপাশে য্বু সমাজকে ধবংস করছে তারা। তাদের এ অপকর্ম গ্রামে ছড়িয়ে পরায় এলাকার মানহানি হচ্ছে। দীর্ঘদিন থেকে জনৈক নামে এক যুবকের সাথে অনৈতিক কাজ করে আসছে। গত ৮ মে রাত ৭ টায় পানির মেশিন মেরামতের মুজুরীর টাকা আনতে সেমা আক্তারের বাড়িতে যায় আসামি রুবেল আহমদ। সেখানে টাকা লেনদেন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সেমার ভাই ও বাবার সাথে হাতাহাতি হয়।
পরে রুবেলকে আটকিয়ে রাখার চেষ্টা করে সেমার পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হলে রুবেলের পরিবার ও এলাকাবাসী তাকে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে সালিশ বৈঠক হওার কথা থাকলেও জৈনৈক এক ডাক্তারের ফরামর্শে, তার অসাধু উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এবিষয়ে আইন প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করার অনুরোধ জানান এলাকাবাসী। গ্রামবাসী জানান, মা মনোয়ারা বেগম ও মেয়ে সেমা বেগমের খোঁজ নিলেই বুঝতে পারবেন তারা কতটা ভাল মানুষ।
পর ইন্ধনে মা মেয়ে মিলে এলাকা ও এলাকার সম্মানী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নিজেদের কুকর্ম ডেকে রাখতে চায়। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করে এসব কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে গ্রেপ্তারকৃত মুরব্বীর মুক্তি দাবি জানান তাঁরা।
এবিষয়ে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখানে কারও পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host