পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ

প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৭, ২০২৫

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
সংঘর্ষ ও সহিংসতার পর গোপালগঞ্জ জেলায় জারি করা কারফিয়ের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আবারও কারফিউ জারি করা হয়েছে। তবে শুক্রবার দুপুর ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। ২টা থেকে আবারও কারফিউ বলবৎ থাকবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারফিউইয়ের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ কামরুজ্জামানও একই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ শুরু হয়। চলে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘গতকালের ঘটনায় মোট ৪৫ জনের অধিক লোক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দশ জনের বেশি পুলিশ সদস্য। উক্ত সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন চার জন। এই পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২৫-এর অধিক আসামিকে। এখনও অনেকে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রয়েছে তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
উল্লেখ্য, সারা দেশে মাসব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে বুধবার গোপালগঞ্জে যান এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তারা এটিকে ‘লং মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ হিসেবে নামকরণ করেন। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোপালগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এটি প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
এনসিপির নেতাদের গাড়িবহর গোপালগঞ্জে যাওয়ার পথে পথে বাধা পায়। সকালে পুলিশ এবং ইএনওর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের দায়ী করা হয়।
দুপুরে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশস্থলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। হামলার কিছুক্ষণ পর সেখানে পৌঁছান এনসিপির নেতারা। তারা সেখানে স্লোগান ও বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে তারা মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে তাদের গাড়িবহর ঘিরে হামলা করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এনসিপি নেতাদের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এতে এখন পর্যন্ত চার জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর